
শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে এখন অনেকেই ডিটক্স পানীয়ের উপর ভরসা রাখছেন। সেখানেই এখন ট্রেন্ডিং বার্লি ওয়াটার। অর্থাৎ বার্লির তৈরি জল। এটা যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ভারতে বার্লির চল নতুন নয়। কিন্তু এই শস্যকে ব্যবহার করে ডিটক্স ওয়াটার বানানোর পদ্ধতি একটু আধুনিক। কিন্তু ভীষণ উপকারী। এক চামচ বার্লি এক গ্লাস জলে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই জল ৩০ মিনিট ফুটিয়ে তারপর পান করুন।

বার্লির জল ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। যাঁরা নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা চুমুক দিতে পারেন এই বার্লির জলে। এর মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এই সময় বার্লির জলে চুমুক দিলে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারবেন। তাছাড়া এই ডিটক্স পানীয় গরমেও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

বার্লির জল পান করলে এটি শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এমনকী কিডনিতে কোনও দূষিত পদার্থ জমতে দেয় না। এতে কিডনিতে পাথর ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। বার্লির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

যাঁরা ওজন কমাতে সকাল-বিকাল জিমে গিয়ে কসরত করেন, তাঁরা এবার নিয়মিত বার্লির জলে চুমুক দিতে পারেন। বার্লি খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড শুষে নেয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কারণে অনেকেই বার্লির তৈরি খিচুড়ি খাওয়াও পছন্দ করেন।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলেও আপনি বার্লির জল পান করতে পারেন। বার্লির জল উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার সঙ্গে আপনাকে নুন ব্যবহারের পরিমাণ কমাতে হবে। এতে কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

যেহেতু বার্লির মধ্যে ফাইবার রয়েছে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ যাঁরা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও বার্লির জলে খেতে পারেন। তাছাড়া বার্লির গ্লাইসেমিক সূচকও কম, তাই এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।