
৬ মাসের পর থেকেই শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। তার আগে অবধি মায়ের দুধই তার খাবার। ভাত-ডালের জল, চিঁড়ে, শিঙি মাছের ঝোল, কলার মতো সহজপাচ্য খাবার দেওয়া হয় বাচ্চাকে।

যতই আপনি ভাতকে মিক্সিতে একদম পেস্ট করে দেন, নতুন ধরনের খাদ্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাচ্চার পরিপাকতন্ত্রেরও সময় লাগে। এর জেরেই অনেক বাচ্চাই এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। অর্থাৎ, তাদের মলত্যাগে কষ্ট হয়। শক্ত পায়খানা হয়।

বর্তমানে দু’বছরের ঊর্ধ্বের বাচ্চাদের মধ্যেও খুব কমন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। সাধারণত দেড়-দু’বছর বয়স থেকে শিশুরা আর ভাতকে পেস্ট করে খাবার খায় না। কিন্তু তাদের লাইফস্টাইলে অনেক পরিবর্তন আসে। ৮ মাসের শিশু হোক বা আড়াই বছরের খুদে, বাচ্চাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবেন, কীভাবে?

ইনফ্যান্টদের (যে সব বাচ্চাদের বয়স ১ বছরের কম) মধ্যে খাদ্যতালিকা বুঝেশুনে ঠিক করতে হবে। এই সময় বাচ্চা শক্ত খাবার খাওয়া শিখছে। তাই শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটতে পারে। এমন কোনও খাবার খাওয়াবেন না, যার জেরে পায়খানা শক্ত হয়ে যাবে।

ইনফ্যান্টদের খাদ্যতালিকায় স্টার্চজাতীয় খাবার রাখবেন না। কাঁচকলা, আলুর মতো খাবার এই সময় বাচ্চাকে না দেওয়াই ভাল। তার চেয়ে ডালের জল, মিষ্টি আলু, আপেল সেদ্ধ, ওটমিল ইত্যাদি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

টুডলারদের (যে সব বাচ্চার বয়স ১ বছর থেকে ৩ বছর) মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার পিছনে দায়ী লাইফস্টাইল। ছোট বয়স থেকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস তৈরি না হলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা জোরাল হয়।

আজকাল অল্প বয়স থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। তাই এ বিষয়ে বাবা-মাকেই সচেতন হতে হবে। বাচ্চার খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।

টুডলারদের ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখতে হবে। যেহেতু এই বয়সে তারা সম্পূর্ণরূপে শক্ত খাবার খাওয়া শিখে যায়, তাই ওটস, ডালিয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের শাকসবজি ও ফল খাওয়ান। এমনকি ভাতের পাশাপাশি রুটিও খাওয়াতে পারেন।