এই ঘাস যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই হিন্দু ধর্মে এর তাৎপর্যও বিশাল। বিয়ে, ভাইফোঁটা, জন্মদিন- যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে আর্শীবাদ পর্বে দূর্বা ঘাস ছাড়া চলে না।
আবার পুজোতেও লাগে। গণেশকে রোজ দূর্বা নিবেদন করার রীতি রয়েছে। কোনও পুজোই দূর্বা ছাড়া হয় না। সবুজ এই দূর্বা ঘাস দেখতেও খুব ভাল লাগে। মনে হয় যেন সবুজ গালিচা বিছানো রয়েছে।
শুধুমাত্র পুজোর কাজেই নয় এই ঘাস ব্যবহার করা যায় স্বাস্থ্যরক্ষার্থেও। যে কোনও যৌন রোগ, লিভারের সমস্যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যবহার করা হয় এই দূর্বা ঘাস।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, দূর্বা ঘাসের স্বাদ কষা-মিষ্টি। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
শুধুমাত্র মুখের ঘা নিরাময়েই নয়, অনেক ধরনের পিত্ত ও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে দূর্বা ঘাস। পাকস্থলী, যৌন ও যকৃত সংক্রান্ত রোগের জন্য এই ঘাস বেশ কার্যকর।
শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও কাজে আসে দূর্বা ঘাস। দূর্বা ঘাসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।
অনিদ্রা, স্ট্রেসের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে। ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় দূর্বা ঘাস। দূর্বা ঘাস ভাল করে পেস্ট করে নিয়ে মাখতে পারলে ফুসকুড়ি, অ্যালার্জির সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যায়।
অ্যানিমিয়ার সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে দূর্বার রস। দূর্বার রস বার বার খেলে জল তেষ্টা পায় না। লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতেও কাজে আসে এই দূর্বাঘাস। যে কারণে একে সবুজ রক্তও বলা হয়। নিয়মিত ভাবে দূর্বার ঘাস খেতে পারলে খুবই ভাল।