জীবনে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। কিন্তু চিন্তাকে আপনাকে কোনওদিন ছেড়ে যাবে না। স্কুলে পড়াকালীন ছিল পরীক্ষায় ভাল ফল করার চিন্তা। চাকরি জীবনে জাঁকিয়ে বসেছে ইএমআই-এর চিন্তা। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তিত, চাপে আছেন।
বয়স কম হোক বা বেশি, কম বেশি সব মানুষ মানসিক চাপে ভুগছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই চাপ মানসিক অবসাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। খুঁজে পাচ্ছেন না মুক্তির উপায়। এই অবস্থায় মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন। আর খেতে পারেন ৫ খাবার।
ব্যস্ত ও আধুনিক জীবনযাপনে মেন্টাল স্ট্রেস খুব কমন বিষয়। মানসিক চাপে থেকেও সুস্থ থাকাটাও চ্যালেঞ্জের। চিন্তা থেকে বেরোনোর উপায় যখন দেখতে পাচ্ছেন না, তখন ডায়েটে এই ৫ খাবার রাখুন। এতে অন্তত আপনার মানসিক চাপের সঙ্গে জীবন কাটানো সহজ হয়ে উঠবে।
রোজ ব্লুবেরি খান। এই ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে এই ফল।
কুমড়োর দানাকে ডায়েটে রাখুন। এতে থাকা পটাশিয়াম দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এই দানায় ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যানজাইটি, ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করছেন? রোজ একটা করে ডিম সেদ্ধ খান। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে আপনি অবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে রোজ রোদে দাঁড়ান ১০-১৫ মিনিট।
শাকসবজির মতো পুষ্টিকর খাবার আর কিছুই হয় না। শাকপাতায় থাকায় থাকা পুষ্টি মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। পালং শাক এখানে প্রথম স্থানে রয়েছে। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যাও এড়াতে পারেন।
হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক বা অ্যানজাইটি অ্যাটাক শুরু হয়েছে? মানসিক চাপ খুব বেড়ে গিয়েছে? এই সময় এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খান। ডার্ক চকোলেট উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। স্নায়ুকে শান্ত করে।