চা, কফি হোক বা রান্না- সব কিছুতে চিনি দেওয়া অনেকেরই অভ্যাস। চা, কফি বা তরকারি পর্যন্ত একটু বেশি মিষ্টি না হলে অনেকেই খেতে পারেন না। এমনকি দুধ বা ফলের জুসও চিনি দিয়ে খান অনেকে
তরল পানীয় থেকে রান্নায় চিনি মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। চিনি হল আদতে পুষ্টিহীন ক্যালোরি। ফলে এটি শরীরে গেলে বিশেষ কোনও উপকার হয় না, বরং ক্ষতি বেশি হয়
অনেকে মনে করেন, চিনি খেলে হার্ট ভাল থাকে। কিন্তু, একথা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। বরং অতিরিক্ত চিনি খেলে কোলেস্টেরল থেকে ব্লাড প্রেসারের মাত্রা বেড়ে যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
চিনিতে প্রচুর মাত্রায় শর্করা রয়েছে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় চিনি। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি গেলে দেহের ওজন বেড়ে যায় এবং ওবেসিটির সমস্যা হতে পারে
বয়স্কদের অ্যালঝাইমার্স হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালঝাইমার্সের প্রতিরোধকারী এনজাইমের জন্য ক্ষতিকর চিনি। ফলে অতিরিক্ত চিনি খেলে সেই এনজাইম নষ্ট হয় এবং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
অতিরিক্ত চিনি শিশুদের দাঁতের ক্ষতি করে, দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া শিশুদের ব্যবহারেও পরিবর্তন ঘটায় চিনি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্ষিদের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়
ত্বকের জন্য উপকারী নয় চিনি। অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে অকালে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে, ব্রণ, ব়্যাশের সমস্যাও দেখা দেয়
মদ যেমন লিভারের ক্ষতি করে, চিনিও মদের থেকে কিছু কম ক্ষতি করে না। যাঁরা মদ খান না, তাঁদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত চিনি বা চিনি দেওয়া খাবার খাওয়া। এছাড়া রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির ছাঁকনির কাজও ব্যাহত হয়। ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দেয়