
আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে কিংবা গরম কফির কাপে চুমুক দিলে হঠাৎ করে দাঁতে শিরশিরানি অনুভব হয়? কিংবা হঠাৎ করে দাঁতে ব্যথা শুরু হয়? এগুলো দাঁতে সেনসিভিটির লক্ষণ। দাঁতের সেনসিটিভি খুবই কষ্টকর একটি অবস্থা।

অ্যাসিডিক খাবার খেলে, সঠিক উপায়ে দাঁত পরিষ্কার না করলে, মাড়িতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে দাঁতে সেনসিভিটির সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা বা গরম কিংবা অ্যাসিডিক খাবার খেলেই ঝনঝনিয়ে ওঠে দাঁত। এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঘরোয়া উপায়ে।

যে সব খাবার খাওয়া মাত্র আপনার দাঁতে শিরশিরানি অনুভূত হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। চিনিযুক্ত খাবার, ঠান্ডা বা গরম পানীয়তে যদি দাঁতে শিরশিরানি হয়, তাহলে সেগুলো না খাওয়াই আপনার দাঁতের জন্য ভাল।

অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। দাঁতের শিরশিরানি এড়াতে তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে দাঁতের উপর লাগাতে পারেন। কিংবা গরম জলে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে গার্গেল করতে পারেন।

অয়েল থেরাপি দাঁতের শিরশিরানি কমাতে দারুণ উপযোগী। তিলের তেল নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। তারপর কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনাকে এই টোটকাটা কাজে লাগাতে হবে। এরপর আপনি ব্রাশও করে নিতে পারেন।

দাঁতের শিরশিরানি এড়াতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর লবঙ্গ। মুখের ভিতর একটা লবঙ্গ ফেলে রাখতে পারেন। এতে দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা সব দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি লবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে।

দাঁতের শিরশিরানি এবং ব্যথা কমাতে সহায়ক রসুন। কাঁচা রসুন নুন দিয়ে চিবিয়ে খান। রসুনের মধ্যে থাকা নানা ধরনের যৌগ দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন খাওয়ার পর গন্ধ দূর করতে ব্রাশ করে নিতে পারেন।

অনেকেই নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজেন। দাঁতের শিরশিরানি এবং ব্যথা দূর করতে নিম দারুণ উপকারী। নিম মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে আপনি দাঁতে নিম পাতার পেস্টও লাগাতে পারেন। এতেও ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।