শীত পড়লেই বাড়ে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ। তবে এবছর একটু বেশিই ভুগতে হচ্ছে। কারণ এবার শীত ভীষণ রকম খামখেয়ালি। এই ঠান্ডা তো এই গরম। আবার মাঝে মধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। এত বার আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই বেশি ভুগতে হচ্ছে
শীতের দিনে সর্দি কাশির সমস্যা একটু বেশিই লেগে থাকে। তবে যাঁরা গর্ভবতী তাঁদের শরীরে এই সময় রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক কম থাকে। যে কারণে এমন সমস্যায় পড়তে হয়। চট করে ঠান্ডা লেগে যায়
এমনি সময় ঠান্ডা লাগলে ওষুধ থাকে। সঙ্গে প্রয়োজন মতো অ্যান্টিবায়োটিকও খাওয়া যায়। তবে যারা মা হতে চলেছেন তাঁরা এই সমস্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেতে পারেন না। শত সমস্যাতেও তাঁদের ভরসা করতে হয় ঘরোয়া টোটকায়
এই সময় নিজের এবং গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। নিজের মতো যা খুশি তাই করে নিলে একেবারেই চলবে না। এই সময় মেনে চলুন দিদিমাদের সেই সব টোটকা। কাশি হলে মিখে লবঙ্গ রাখুন। আদা মধু দিয়ে লিকার চা খান
সকালে উঠে ইষদুষ্ণ এক গ্লাস জলের সঙ্গে তুলসিপাতা, মধুদিয়ে চিবিয়ে খান। এতে তুলনায় ঠান্ডা কম লাগবে। কোনও রকম ঠান্ডা জল খাবেন না। যয়তবারই খাওয়া হোক না কেন গরম জল খেতে হবে
জলে একটু নুন ফেলে গার্গল করতে থাকুন। এতে গলা আরাম পাবে আর কাশিও বন্ধ হবে। এর সঙ্গে যা প্রয়োজন তা হল ঘুম। চেষ্টা করুন যতটা বেশি সময় পাবেন বিশ্রাম নিতে। এতে নিজে থেকেই দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন
সারাদিনে বেশি করে জল খান। সর্দি, কাশি বা কফ হলেও চেষ্টা করতে হবে শরীর যাতে হাইড্রেটেড থাকে। জল, ফল, ফলের রস, ডাবের জল, চিকেন স্ট্যু এসব রোজ রাখুন ডায়েটে। এতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামি, খনিজ, প্রোটিন পাবে আর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে
একটা পাত্রে জল ফুটিয়ে নিন। এবার মাথার উপর থেকে কাপড়, তোয়ালে বা গামছা জড়িয়ে ফুটন্ত জল থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। এভাবে ১৫ মিনিট করে দিনে মাত্র ২ বার ভেপার নিন। জলের মধ্যে একটু তুলসি পাতা ফেলে দেবেন। এতে মাথা ছাড়বেই