শীতের বাজার বলতে রাঙা আলু, পালং শাক, বিট, গাজর। শীতের আনাজের মতো পুষ্টিকর খাবার খুব কমই রয়েছে। এই মরশুমে যদি নিয়ম করে শাকচচ্চড়ি খাওয়া যায়, রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমবে। আরও উপকার পাবেন যদি শাকচচ্চড়িতে শিম মেশান।
শিম-আলু সেদ্ধ হোক বা শিমের তেল-ঝাল, এই মরশুমে নিয়মিত শিম খেলে আপনার দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। শিমের মধ্যে প্রোটিন, কার্ব, ফাইবার সবই পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
আজকাল কম বয়সেই হানা দিচ্ছের হার্টের রোগ। তাই সময় থাকতে হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়া জরুরি। এই কাজটা শীতকালে শিম করতে পারে। শিমের মধ্যে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
শীতকালে মানেই বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেশি। দূষণের হাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে শিম খান। শিমের মধ্যে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্কের মতো উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
একটু ঠান্ডা লাগলেই গলা ব্যথায় ভোগেন? শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে শিম। শিমের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা গলা ব্যথা ও ফোলাভাব থেকে রেহাই দেয়। ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভুগলেও ডায়েটে রাখতে পারেন শিম।
নিত্যদিন গ্যাস-অম্বলে ভোগেন? শীতকালে শিম খান। ডায়ারিয়া, বদহজম, ফোলাভাব, বমির মতো সমস্যা দূরে রাখতে শিম। এই আনাজের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা পেটের গোলমাল দূরে রাখতে সাহায্য করে।
শিম খেয়ে ওজন কমানো সহজ। একাধিক খনিজের পাশাপাশি শিমের মধ্যে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখে এবং মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এতে ওজন কমানো সহজ হয়।
খুদের পড়াশোনায় মন বসে না? মনঃসংযোগের অভাব? রোজ শিম খেলে এই সমস্যা দূর হতে পারে। শিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কপার পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কে 'ফিল গুড' হরমোন নিঃসরণ করে। এটি মনঃসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।