দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্ট আমাদের দেহ কাজ করার এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। কিন্তু এই খাবার বেশিরভাগ মানুষ খান না। সকালবেলা জলখাবার না খেয়েই কাজে বেরিয়ে যান অনেকে।
কখনও অফিস বেরোনোর তাড়া থাকে, আবার কখনও ওজন কমাতে চান। এসব সাতপাঁচ ভেবে অনেকেই ব্রেকফাস্ট করেন না। কিন্তু ব্রেকফাস্টই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সারাদিনের কাজকর্ম করার জন্য যে শারীরিক এনার্জি দরকার পড়ে, তা সকালের জলখাবার থেকেই মেলে।
সকালের জলখাবার না খেলে শুধু যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয় কিংবা শরীর জুড়ে ক্লান্তি দেখা দেয়, তা নয়। ব্রেকফাস্ট না খেলে এর চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন।
সকালের জলখাবারে সঠিক খাবার খেলে এটি দেহে ভিটামিন ও মিনারেল প্রদান করে। সকালবেলা দেহে কোনও পুষ্টি না পৌঁছালে, রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে নেমে যেতে পারে। দিনের পর দিন ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
সকালবেলা ব্রেকফাস্ট না করে কাজে বেরোলে ক্ষতি আপনারই। প্রথমত খিদে পায়। এরপর ভরপেট খেলেও তৃপ্তি মেটে না। তখন সারাক্ষণ মনে হয়, খিদে পেয়েছে। এই কারণে ব্রেকফাস্ট প্রোটিন ভরপুর খাবার রাখা দরকার।
ব্রেকফাস্ট না করলে সুগার লেভেল কমে যাবে। এতে সারাদিন আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকতে পারে। ব্রেকফাস্ট না করলে আপনার কাজ করার ক্ষমতা করে যায়। পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব পড়ে।
ব্রেকফাস্ট না করে ওজন কমানো যায়—এই ধারণা ভুল। বরং, দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। তখন আপনি যা-ই খাবার খান, হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এতে ক্যালোরি পোড়ানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
সকালে জলখাবারে না খাওয়ার অভ্যাস অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। যেহেতু ব্রেকফাস্ট না করলে মেটাবলিক রেট কমে যায় এবং সুগার লেভেল কমে যায়, এটি হার্টের উপরও প্রভাব ফেলে। তাই রোজ সকালে জলখাবার না খাওয়ার অভ্যাস আপনার জন্য মারাত্মক হতে পারে।