একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আবহাওয়ার সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা ওঠানামা করে। যেমন শীতে আমরা চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খাই। আবার কারও মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি লোভ থাকে বারো মাস। তবে, গ্রীষ্মে এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই খাওয়া-দাওয়ার উপর নজর না দিলেই সমস্যা। সুতরাং, গরমে যতই কষ্ট হোক, স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করবেন, তার সঙ্গে আর কী-কী রাখবেন, দেখে নিন।
এখন বাজারে অনায়াসে আপনি ঢেঁড়শ পেয়ে যাবেন। গরমকালের এই আনাজ কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। ঢেঁড়শের মধ্যে পেকটিন নামের এক প্রকার ফাইবার রয়েছে যা চর্বি উৎপাদনে বাধা দেয়। এটাই কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।
হালফ্যাশনের যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অ্যাভোকাডো। এই ফল কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী। অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আপনি স্যালাদ হিসেবে এই অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
র্যাসবেরি, স্ট্রবেরির মতো গরমকালে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।
গরমে রোজ একটা করে কাঁচা রসুনের কোয়া খেতে পারেন। রসুন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গরমে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় রসুন।
এই গরমে আপনি লেবুর রস, লেবুর জল পান করতে পারেন। যে কোনও সাইট্রাস ফল আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী।
এই গরমে হালকা ব্রেকফাস্টের খোঁজে রয়েছেন? কোলেস্টেরলের রোগীরা ওটসের স্মুদি পান করতে পারেন। ওটসের তৈরি যে কোনও খাবারই কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য উপযুক্ত। কারণ এই খাবার ফাইবার সমৃদ্ধ।