রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। এই গরমে সুস্থ থাকতে হাইড্রেশনই একমাত্র উপায়। জলের পাশাপাশি অনেকেই ফলের রস, ডাবের জলে চুমুক দিচ্ছেন। এমনও কিছু রিফ্রেশিং ড্রিংক্স রয়েছে, যা গলায় ঢাললে সতেজতা আসে ঠিকই কিন্তু আপনার মধ্যে বাড়িয়ে তোলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি।
চা-কফি খেলে সতেজতা অনুভব করেন, কিন্তু গরমে এই ধরনের খাবারে হতে পারে ডিহাইড্রেশন। যদিও এই মরশুমে অনেকেই আইস টি খেতে পছন্দ করেন। লেবুর রস, ঠান্ডা জল স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হলেও, চায়ে ক্যাফেইন থাকে। এটি আপনার মধ্যে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
একইভাবে, কোল্ড কফি খাওয়াও এড়িয়ে চলুন। কোল্ড কফি রিফ্রশিং হলেও এটি গরমে আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করে তুলতে পারে। কফি কাজের এনার্জি জোগালেও কিছুক্ষণ পর আপনার শরীরকে জলশূন্য করে দিতে পারে। তাই এই পানীয় এড়িয়ে চলুন।
গরমে ঘন ঘন লেমনেন্ডে চুমুক দিচ্ছেন? মারাত্মক ভুল করছেন। লেবুর জল অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। এই গরমে লেবুর জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু চিনি দিয়ে লেমনেন্ড বানিয়ে খেলে কোনও লাভ নেই। লেবুর জলে থাকা চিনি আপনার শরীরের জল শুষে নিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন চিনি ছাড়া লেমনেন্ড পান করার।
গরমে প্রতিদিন ডাবের জল খেতে পারেন। কিন্তু টাটকা ডাবের জল পান করুন। প্যাকেটজাত ডাবের জল এড়িয়ে চলুন। বাজারে নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত ডাবের জল পাওয়া যায়। তাতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এতে আপনার শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
গরমকালে সন্ধেবেলা কাজ সেরে অনেকেই বিয়ারে চুমুক দেন। অনেকেই মনে করেন, ঠান্ডা বিয়ার গরমে রিফ্রেশিং। কিন্তু বিয়ার আপনার শরীরকে গরমে ডিহাইড্রেটেড করে তুলতে পারে। তাই ভাল লাগলেও বিয়ার থেকে দূরে থাকাই উচিত।
বিয়ারের মতোই হুইস্কি, ব্র্যান্ডি, রাম, ওয়াইনের মতো অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত। গরমে মদ্যপান করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর জেরে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
রাস্তায় বেরিয়ে গরম লাগলে দোকান থেকে সোডা, এনার্জি ড্রিংক্স কিনে খাচ্ছেন? এই ভুলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যার জেরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।