
দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে রাশ টানতে বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। তবে, এমন এক ধরনের পুষ্টি রয়েছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড টেনে বের করে দেয়।

ভিটামিন বি১২ দেহে লোহিত কণিকা গঠন থেকে শুরু করে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের একাধিক কার্যকারিতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি এই ভিটামিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ফল খেয়েই আপনি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারেন। এতে কিডনিতে পাথর জমা কিংবা গাউটের ব্যথা দেখা দেওয়ারও কোনও সম্ভাবনা থাকবে না।

কলার মধ্যে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। এছাড়া উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায় এবং জয়েন্টে গাউটের সমস্যাকেও প্রতিরোধ করে।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই রোজ আপেল খান। এই ফলের মধ্যেও আপনি ভিটামিন বি১২ পেয়ে যাবে। আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে।

কিউইয়ের মধ্যে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। রোজ একটা করে কিউই খেলে উল্লেখযোগ্য হারে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। কিউই খেলে আলাদা করে আর ওষুধ খাওয়ার দরকার পড়বে না।

আনারসের মধ্যেও ভিটামিন বি১২ মেলে। এই ফলে ব্রোমেলিন নামের এক যৌগ পাওয়া যায়, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

তরমুজে জলের পরিমাণ বেশি। এই ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ফল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই ফল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং কিডনির স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।