
শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। একটু কম ঘুম হলেই পরদিন সকালে শরীরে দেখা দেয় ঝিমুনি ভাব। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকলে আপনিই কিন্তু মুশকিলে পড়বেন।

অনেকেই সন্ধের পর চা-কফি খেয়ে ফেলেন। তখন রাতে ঘুম ধরতেও সমস্যা হয়। আর ঠিকমতো ঘুম না হলে অ্যানজাইটি বাড়তে থাকে। এই কারণেই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনেক সময় কোনও ছাড়াই শরীর দুর্বল দেখায়। রাতে ভাল ঘুমের পরও সকালে শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না। সারাদিন ধরে হাই উঠতে থাকে। এমন সমস্যা কেন হয়?

রাতে হয়তো ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন, ল্যাপটপ ঘাঁটেন। Quality of sleep-এর সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে আপনাকে। এর জেরেও কিন্তু শরীরে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

ঘুমের চক্রকে ঠিক রাখা দরকার। সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়া—দুটোই কিন্তু জরুরি। আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। ডিহাইড্রেশনের জেরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও শারীরিক ক্লান্তি বাড়তে পারে।

অনেক সময় মারাত্মক স্ট্রেসে আছেন, তখন ১০ ঘণ্টা ঘুমোলেও শারীরিক ক্লান্তি কমে না। মানসিক চাপে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসৃত হয়। এই স্ট্রেস হরমোনের জেরে ঘুমের মান ও সময়ও কমে যায়। ঘুম ধরতেও অনেক সময় দেরি হয়।

থাইরয়েডের মতো হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা থাকলে ঘুম ভাল হয় না। আর ঘুম হলেও শারীরিক ক্লান্তি কাটে না। যে কোনও হরমোন জনিত সমস্যা আপনাকে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তখন ভাল ঘুমের পরও আপনি ফুরফুরে অনুভব করেন না।

ভিটামিন ডি, আয়রনের মতো পুষ্টির ঘাটতি থাকলে দেহে শারীরিক ক্লান্তি বাড়ে। এই ধরনের পুষ্টি মেজাজকে পরিবর্তন করে। শরীরে এনার্জি কমে। তখন ৭ ঘণ্টা ঘুমের পরও শরীর ক্লান্ত দেখায়। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না।