Monsoon Sickness: কোন ধরনের খাবার খেলে বর্ষার সংক্রমণ আপনাকে ছুঁতে পারবে না? রইল টিপস
Zinc Rich Foods: বর্ষাকালে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হওয়া দরকার। আর সেটা সবসময় ওষুধ দিয়ে সম্ভব নয়। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখাও দরকার।
বর্ষাকালে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হওয়া দরকার। আর সেটা সবসময় ওষুধ দিয়ে সম্ভব নয়।
ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য বেশিরভাগ মানুষ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দেন। কিন্তু ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একমাত্র উপায় নয়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্কও দরকার।
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের দিনপ্রতি ১১ মিলিগ্রাম ও মহিলাদের ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্ক দরকার। এই জিঙ্ক দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখাও দরকার।
রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ডায়েটে চিকেন রাখুন। চিকেনে প্রোটিনের পাশাপাশি জিঙ্ক পাওয়া যায়। শরীর দুর্বল থাকলে, ঘন ঘন রোগে ভুগলে চিকেন খান। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
মুগ, মুসুর, ছোলা, রাজমার মতো বিভিন্ন ডালের মধ্যে জিঙ্ক পাওয়া যায়। তবে, ডাল জলে ভিজিয়ে, ভাল করে সেদ্ধ করে খাওয়া দরকার। নাহলেই বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখী ফুলের বীজের মতো খাবারে জিঙ্ক পাওয়া যায়। এই ধরনের বীজগুলো ডায়েটে রাখলে রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্যও উন্নত হবে।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট না হলে দুগ্ধজাত খাবারও ডায়েটে রাখতে পারেন। দুধ, পনির, ছানা, চিজের মতো খাবারে জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, এ, ক্যালশিয়ামের মতো পুষ্টি পাওয়া যায়।
ডিম পুষ্টির ভাণ্ডার। এই খাবারের বিকল্প নেই। জিঙ্কের পাশাপাশি ডিমের মধ্যে প্রোটিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি-এর মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। রোগের হাত থেকে বাঁচতে রোজ ডিম খান।