বিশ্বের ভয়ঙ্কর দশ জায়গার মধ্যে প্রথম দিকেই নাম আসে রাজস্থানের আলওয়ার জেলার অবস্থিত ভানগড় দুর্গের। আরাবল্লি পর্বত শ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত এই দুর্গে সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কী রয়েছে সেখানে? কোন ইতিহাসের কথা বলতে আজও আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যান আশেপাশের গ্রামবাসীরা?
দুর্গটি প্রতিষ্ঠা করেন, অম্বরের রাজা ভগবন্ত সিং। ছোট ছেলে মাধো সিংয়ের জন্য ১৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই দুর্গ। মাধো সিংয়ের ছেলের নাম ছিল ছত্র সিং। তাঁরই কন্যা ছিলেন রাজকুমারী রত্নাবতী। রহস্য এই রাজকুমারীকে ঘিরেই।
শোনা যায়, রূপে গুণে রাজকুমারী ছিলেন অতুলানীয়া। বিয়ের প্রস্তাব পেতেই থাকতেন হরদম। একবার তাঁর প্রেমে পড়েন এক তান্ত্রিক। তিনি নাকি ছিলেন কালাজাদুতে পারদর্শী।
রাজকুমারী সেই প্রস্তাব নাকোচ করে দিলে অন্য ফন্দি আঁটেন সেই তান্ত্রিক। তাঁর সুগন্ধীর মধ্যে জাদুমন্ত্র মিশিয়ে রাজকুমারীকে তাঁর কাছে আনার প্রচেষ্টা করতে থাকেন তিনি।
কিন্তু রাজকুমারী তা জানতে পেরে যান। আতরের শিশি তিনি ছুড়ে ফেলে দেওয়া মাত্রই তা পাথরে রূপ নিয়ে সেই তান্ত্রিককেই পিষে দেয়। আর মৃত্যুর আগেই নাকি রাজকুমারীর পরিবারকে দিয়ে যান এক চরম অভিশাপ।
তিনি অভিশাপ দেন ওই রাজবংশে আর কেউ জীবিত থাকবেন না, এক বছরের মধ্যেই ভানগড়ের সঙ্গে যুদ্ধ লাগে আজবগড়ের। যুদ্ধে প্রাণ হারান রত্নাবতীও। মৃত্যু হয় রাজপরিবারের বহু সদস্যেরও। এর পর থেকেই নাকি অন্ধকার কালো ছায়া নেমে আশে রাজপরিবারের সকলের উপর।
কার্যত নির্বংশ হয়ে যায় গোটা পরিবার। স্থানীয়রা বলে রাত বাড়লে আজও নাকি রাজবাড়ি থেকে ভেসে আসে নুপুরের আওয়াজ। কাছে যেতে সাহস নেই কারওরই। শোনা যায়, একবার এক অত্যুৎসাহী নাকি প্রবেশ করেছিলেন সেখানে। আর ফিরে আসেননি।