প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি পণ্যই চুলে ব্যবহার করুন। কোনও রকম রাসায়নিক পণ্য চুলে ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আরও পড়ে যাবে এবং আরও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যেহেতু এই সময় আপনার শিশু আপনার কাছেই থাকবে তাই পণ্যগুলির রাসায়নিক প্রভাবও শিশুর ওপর পড়তে পারে।
ভিজে অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না। এতে ক্ষতি হয় চুলের গোড়ায়। এছাড়া চুলকে শক্ত ভাবে বেঁধে রাখবেন না, চুল উঠে যাওয়ার পাশাপাশি এটি মাথার যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্কই শুধু ব্যবহার করুন। ডিমের সাদা অংশ, মেথির পেস্ট, আমলকি ও কারি পাতার পেস্ট, পিঁয়াজের রস, জবা ফুলে পেস্ট ইত্যাদি দিয়ে বাড়িতেই চুলের মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। এতে চুলও সুন্দর থাকে এবং আপনার ও আপনার শিশুর ওপর কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে না।
চুলে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট বা চুলে রঙ এসব এই সময়ে একদম করবেন না। প্রয়োজনে আপনি চুলে হেনা করতে পারেন কিন্তু সেটা অত্যাবশক হলেই করুন। এছাড়া অ্যান্টি ড্যানডর্ফ শ্যাম্পু যাতে স্যালিলিক অ্যাসিড রয়েছে তা ব্যবহার করবেন না।
চুলে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এর জন্য নারকেল তেল, আমন্ড তেল বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। চুলে তেল ম্যাসাজ করলে চুলের ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। প্রয়োজনে তেলকে অল্প গরমও করে নিতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাবেন যা আপনার ও আপনার শিশু ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পোস্ট প্রেগনেন্সির পরও এই অভ্যাসটি বজায় রাখুন। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি যুক্ত খাবার খান। এতে আপনার ত্বক ও চুল উভয়ই ভালো থাকবে। একই সাথে আপনি যদি শিশুকে স্তন্যদুধ পান করান সেক্ষেত্রেও আপনার জন্য এই স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি যুক্ত ডায়েট খুব জরুরি।
অনেক মহিলাই রয়েছে যাঁরা গর্ভাবস্থায় চুল কাটেন না। এক্ষেত্রে ডেলিভারির পরে চুল কেটে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার চুলের গ্রোদ বজায় থাকবে।