TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Jul 11, 2023 | 9:30 AM
ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় এখন প্রচুর মানুষ ভুগছেন। সারাদিন বসে কাজ, মাত্রাতিরিক্ত চাপ, ঘুম কম হওয়া, অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া এসবের জন্য ভুঁড়ি বাড়ছে। পেটে মেদ জমা মোটেই কাজের কথা নয়। কারণ এখান থেকেই আছে একাধিক শারীরিক সমস্যা।
ওজন কমানোর জন্য সকলে কত চেষ্টাই না করছেন। এদিকে পেটের মেদ গলাতে সবচাইতে বেশি কষ্ট হয়। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে কিংবা শুধুমাত্র শসা, গাজর, টকদই খেয়ে থাকলেই ভুঁড়ি কমবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা করতেই হবে।
এছাড়াও কিছু ভুল অনেকেই করে থাকেন। তা হল সরাসরি ফ্রিজের জল খাওয়া। ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা জল খেলে ওজন বাড়বেই। গরমের দিনে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়ার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সব সময় ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা জল খান।
আর ফ্যাট গলাতে তাই একটু করে ইষদুষ্ণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিদ মুনমুমন গানেরিওয়াল তাঁর ইনস্টাগ্রামে নতুন একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন ওজন কমাতে কী ভাবে সাহায্য করে এই ইষদুষ্ণ জল।
ফ্রিজের ঠান্ডা জল মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়। হজম করতে সমস্যা হয়। এই কারণে সব সময় ইষদুষ্ণ জল খান। খাবার খাওয়ার পর ইষদুষ্ণ জল খেয়ে নিলে হজম ভাল হয়। হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকের ক্ষরণ ঠিক থাকে। এতে মেটাবলিজম বাড়ে। মেটাবলিজম বাড়লে ওজন কমবেই।
গরম জল চর্বি কাটার হিসেবেও কাজ করে। গরম জল শরীরের চর্বিকে ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে দেয়। এর ফলে ক্যালোরির পরিমাণ ঠিক থাকে। আর পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে। তাই রোজ খাওয়ার পর ইষদুষ্ণ জল খান।
এই সাধারণ ভুল অনেকেই করেন। গরম জলে লেবু আর মধু মিশিয়ে খেলে একেবারেই ফ্যাট গলে না। বরং এতে বিপাকক্রিয়া কমে যায়। গ্যাস, অম্বলের সম্ভাবনা থেকে যায়। চেষ্টা করুন ঠান্ডা জলে লেবু দিয়ে খেতে। লাঞ্চের পর একগ্লাস জলে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার চিয়া সিডের সঙ্গেও লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়।
গরম জল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে শরীরের যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এই ইষদুষ্ণ জল খুবই ভাল।তাই আজ থেকেই শুরু করুন।