Bangla News Photo gallery How has the intellectuals and actors have reacted to the on going recruitment scam in west bengal
Recruitment Scam: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন তারকারা? দেখুন ছবিতে…
TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta
Jul 30, 2022 | 4:52 PM
Bengal Intellectuals: রোদে-জলে ৫০২ দিন পেরিয়েছে এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সরব আন্দোলনকারীদের লড়াই। তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’দের একটা বড় অংশকে সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি এই নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে কেউ-কেউ নিঃসন্দেহে কথা বলেছেন এবং স্পষ্টভাবেই বলেছেন: কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায়, কখনও TV9 বাংলার সঙ্গে সরাসরি।
1 / 9
গত সপ্তাহে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বঙ্গভূষণ পুরষ্কার’। TV9 বাংলার তরফে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। একটু সময় নিয়ে ভেবে উত্তর দেব।’’ যদিও সেই উত্তর আর আসেনি।
2 / 9
রাজ্য সরকার মন্ত্রীসভার যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই নিয়ে টুইট করেছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তথা অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। তাঁর বক্তব্য: এই টাকা রাজ্যের গরিব মানুষদের শোষণের টাকা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু যাঁদের থেকে এই টাকা হাতানো হয়েছে, তাঁদের জন্য এই টাকা খরচ করতে হবে।” অপর্ণা সেনের সেই টুইটের পর সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তা নিয়ে মুখ খুলল তৃণমূলও। রাজ্যের শাসক দলের তরফে বিধায়ক তাপস রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি নিয়ে অপর্ণা সেনকে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
3 / 9
বাদশা TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আজ নয়তো কাল এটা হওয়ারই ছিল। তবে এত-এত টাকা পাওয়া যাবে, সেটা ভাবতে পারেননি।” বিষয়টায় অবাক না হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ধামাচাপা দিচ্ছেন, তাতে অবাক লাগছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি যদি তাঁর সচিবের কাজকর্ম না জানেন, তাহলে তো তাঁর পদেই থাকা উচিৎ নয়—মত বাদশার।
4 / 9
TV9 বাংলাকে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কে, কার গার্লফ্রেন্ড, তাঁদের কতটা বয়সের ফারাক, এই ধরনের হাস্যকর কথা বলার অবস্থায় আমরা নেই। রাজ্য জুড়ে টাকার যে অশ্লীলতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আমাদের সকলের ওই ৫০০ দিনেরও বেশি যাঁরা কষ্ট করে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে, সংহতি জানাতে হবে। আর বুদ্ধিজীবী সমাজের একাংশ যদি উটপাখির মতো চোখ বন্ধ করে ভেবে থাকেন তাঁরা মরুঝড় থেকে বেঁচে যাবেন, তবে তাঁরা মূর্খের গজদন্ত মিনারে বাস করছেন।”
5 / 9
ছোটবেলার তিনটে মিষ্টি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দর্শকের সঙ্গে কুইজ় খেলেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়: শিশুরাই আগামীদিনের আলো। এই ফেসবুক পোস্ট দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে TV9 বাংলা। পরিচালক বলেছেন, “কেবল রাজ্যে নয়, এক-একটা জায়গায় এক-এক রকমের ঘটনা ঘটছে। আমি ভাবতে পারি না, অতিমারির সময়ের বিভীষিকা কাটিয়ে, এত মৃত্যু মিছিল দেখেও মানুষের ভাল করে থাকার ইচ্ছেই হচ্ছে না। সময় চলে যাচ্ছে। এই সময় ফিরবে না কিছুতেই।” তাঁর সংযোজন, “এগুলো তো ব্রেকিং নিউজ় নয়, এগুলো ব্যাড ব্রেকিং নিউজ়। সমাজের কোমর ভেঙে যাচ্ছে। বিশ্বাসের মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।”
6 / 9
খুব চেনা কায়দায়—যেভাবে সাদা-কালো ভিডিয়োর মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখেন রুদ্রনীল—ফের ফেসবুকে এবারও সরব তিনি। স্বরোচিত কবিতা পাঠ করেছেন রুদ্রনীল: “ও বুদ্ধিজীবী, লেখক, কবি, ঘুমিয়ে গেলেন নাকি… ভাতা পেয়ে দাতার ভয়ে লজ্জা পাওয়া বাকি। দিচ্ছ কাকে ফাঁকি। বুদ্ধিজীবী, আপনারা নাকি বাংলার মুখ, আপনারা সব বিবেক… মানুষ নিয়ে ভাবেন নাকি… তা হোক ১১-র রিমেক। পড়ছে মনে?’’
7 / 9
তিনি বরাবরই স্পষ্টবক্তা—তিনি বামপন্থী মানসিকতায় বিশ্বাসী চিত্র-পরিচালক অনীক দত্ত। TV9 বাংলাকে পরিচালক বলেছেন, ‘‘ভীষণ ক্ষুদ্র এদের এই অ্যাসপিরেশন লেভেল। এই বুড়ো বয়সে দেখিয়ে গেলেন তরুণ মজুমদার কীভাবে শিরদাঁড়া সোজা রেখে যেতে হয়।’’
8 / 9
‘বুদ্ধিজীবী শব্দটা একটা গালাগালিতে পরিণত হয়েছে’—মত অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। কারণ গোটা দেশের পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবীদের বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতিটাকে আমরা নর্মালাইজ় করে ফেলেছি। আপাতত নিজের জায়গায় যে দুর্নীতিটা দেখছি, তার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে প্রচণ্ড নিন্দে এবং শাস্তি হওয়া দরকার। তবে কেউই ধোওয়া তুলসীপাতা নয়।’’
9 / 9
‘‘মন্তব্য় নিষ্প্রয়োজন’’—অকপট গায়ক রূপম ইসলাম। তাঁর আরও সংযোজন: ‘‘মন্তব্য দিয়ে কিছু হয় না। মন্তব্য দিয়ে কিছু হয় বলে আমি বিশ্বাস করি না।’’