এখন বেশিরভাগ মেয়েই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়মতো পিরিয়ড হয় না। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এক মাসে দু'বার পিরিয়ড হয়ে যায়। তার সঙ্গে পিরিয়ডের সময় অসহ্য তলপেটে যন্ত্রণা হয়। এসব ক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।
কাঁচা পেঁপে খান। কাঁচা পেঁপে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। এটি জরায়ুর সংকোচন বৃদ্ধি করে এবং সময়মতো ঋতুস্রাব হতে সাহায্য করে। কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পান করুন।
হলুদের মতো কার্যকর মশলা খুব কম রয়েছে। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা জরায়ুর ক্র্যাম কমাতে সাহায্য করে। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে গরম দুধে হলুদ ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
স্বাদে মিষ্টি কিন্তু গুড়ের মধ্যে প্রচুর ওষুধি গুণ রয়েছে। নিয়মিত গুড় খেলে এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি জরায়ুর ক্র্যাম্প কমাতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরার রস আপনাকে প্রতিমাসে সময়মতো ঋতুস্রাব হতে সাহায্য করবে। এটি জরায়ুর সংকোচন বাড়ায় এবং ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি এটি ঋতুস্রাবের সময় হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে উপসর্গ কমায়। এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
রান্নাঘরের অতিসাধারণ মশলা দারুচিনি। কিন্তু এর কার্যকারিতা মোটেও সাধারণ নয়। দারুচিনির ওষুধি গুণ পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে পারে। গরম দুধে এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।
নিয়মিত ঋতুস্রাবের জন্য অবশ্যই ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। তার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হবে। এমনকী পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত হলেও আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। এতে আপনি ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা, বমি, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ প্রতিরোধ করতে পারবেন।