ডায়াবেটিস একটি গুরুতর সমস্যা যার স্থায়ী কোনও চিকিৎসা নেই। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার মাধ্যমেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার পরিমাণ যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, তাহলে মারাত্মক জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের অনেক উপায় আছে, যার মধ্যে হলুদ হল অন্যতম। হলুদে কার্কিউমিন নামক একটি সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যা একাধিক রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে সীমিত পরিমাণে হলুদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকাংশে কমতে পারে। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন তবে হলুদের আরও উপকার পেতে পারেন যদি আপনি এটি আমলকী এবং আদা মিশিয়ে খান। হলুদ, আমলা এবং আদা সবারই নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে । এই তিনটি জিনিস একসঙ্গে মেশানো হলে একটি স্বাস্থ্যকর টনিক তৈরি হয়। আয়ুর্বেদে এই তিনটি জিনিস খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে।
হলুদের সাথে আদা ও আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই তিনটি জিনিসেই ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, এই মিশ্রণটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও সহায়ক।
আদা এবং হলুদের বৈশিষ্ট্যগুলি পেট ফাঁপা, বদহজম, পেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব সহ পেটের সমস্যাগুলির চিকিৎসায় বেশ কার্যকর। আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি ক্রমাগত এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেতে হবে।
প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি খেলে সর্দি-কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সব গুণাগুণ আদার মধ্যে পাওয়া যায়, যা সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আমলকী হল ভিটামিনের ভান্ডার, যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
যেহেতু এই মিশ্রণটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের ভান্ডার, এটি শরীরের ব্যথা নিরাময়ে আপনার জন্য অনেক সাহায্য করতে পারে। তবে, আপনার এই মিশ্রণটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।