Indian Railway: সাড়ে তিন বছর লেট করেছিল ভারতের এই ট্রেন! গরুর গাড়িও তাড়াতাড়ি যায়
Indian Railway: ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিশাখাপত্তনম মালগাড়িটি ছেড়েছিল। ১৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের বস্তিতে পৌঁছেছিল ৩.৫ বছর পর। কেন এত দেরি হল? ট্রেনটি কোথায়, কীভাবে আটকে ছিল? কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল? কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রেল।
1 / 8
ফাইল ছবি
2 / 8
তবে এটা কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন ছিল না, ছিল একটি মালগাড়ির ওয়াগন। ১৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সার ছিল ওয়াগনটিতে। আশ্চর্যের বিষয় হল এই দেরির কোনও কারণ রেলওয়ে জানাতে পারেনি। সাড়ে তিন বছর ধরে ট্রেনটিকে কোথায় ছিল, তাও জানাতে পারেনি।
3 / 8
বিশাখাপত্তনমের ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড থেকে সার আনার জন্য এই মালবাহী ট্রেনটি বুক করেছিলেন রামচন্দ্র গুপ্ত নামে উত্তর প্রদেশের বস্তির এক ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিশাখাপত্তনম মালগাড়িটি ছেড়েছিল। বিশাখাপত্তনম থেকে বস্তির দূরত্ব ১৪০০ কিলোমিটার। সাধারণত এই দূরত্ব অতিক্রম করতে কোনও মালবাহী ট্রেনের ৪২ ঘন্টা ১৩ মিনিট মতো সময় লাগে। এই ট্রেনটির লেগেছিল ৩.৫ বছর! বস্তি স্টেশনে পৌঁছেছিল ২০১৮-তে।
4 / 8
ট্রেনটি সময়মতো বস্তিতে না পৌঁছনোর পর, রামচন্দ্র গুপ্ত ভারতীয় রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বস্তি রেলস্টেশনে গিয়ে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বারবার দেখা করেন। ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড সংস্যার পক্ষ থেকেও রেলের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
5 / 8
রেলের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া দূর, ট্রেনটি কোথায় আছে তাও তারা জানাতে পরেনি ওই ব্যবসায়ীকে। ট্রেনটি যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল। বিশাখাপত্তনম থেকে রওনা হওয়ার পর মালগাড়িটি কোথায় চলে গেল, সেই উত্তর দিতে পারেনি কেউ। কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি রেলওয়ে।
6 / 8
দীর্ঘ তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর, সাড়ে তিন বছর পর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, উত্তর প্রদেশের বস্তি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেছিল সার বোঝাই ওয়াগনটি। তবে, ততদিনে সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই নষ্ট হওয়া সার গ্রহণ করতে চাননি রামচন্দ্র গুপ্ত।
7 / 8
রামচন্দ্র গুপ্ত আগে থেকে পেমেন্ট করেননি। ফলে, সার সংস্থাটির ক্ষতি হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকার। এরপর আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড এবং ভারতীয় রেলের মধ্যে। সেই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।
8 / 8
কিন্তু, কেন এত দেরি হল? ট্রেনটি কোথায়, কীভাবে আটকে ছিল? কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল? কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রেল। আমরা যদি দেখি, তাহলে এটাই ছিল রেলওয়ের সবচেয়ে বিলম্বিত ট্রেন। উত্তর-পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক, সঞ্জয় যাদব জানিয়েছিলেন, কখনও কখনও কোনও ওয়াগন পুরোনো হয়ে গেলে, পুরো মালগাড়িটিরই দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই, ওই বগিটিকে ইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এই ক্ষেত্রেও সম্ভবত একই ঘটনা ঘটেছিল।