কোটিপতি হতে কে না চায় বলুন? সেই কারণে আজকাল নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে বিনিয়োগের প্রবণতা। শেয়ার মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বন্ড সবেতেই বেড়েছে বিনিয়োগ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন প্রজন্ম এই বিষয়ে অনেক বেশি সাহসী। তবে কোটিপতি হতে গেলে কিন্তু অনেক টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। বরং সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গার অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেও অনায়াসে কোটিপতি হওয়া সম্ভব।
আপনিও যদি কোটিপতি হতে চান, তাহলে সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ শুরু করুন অবিলম্বে। বড় অঙ্কের বিনিয়োগ নয় মাত্র ২০০০ টাকা থেকেই শুরু করতে পারেন বিনিয়োগ। ভরসা রাখতে পারেন SIP মিউচুয়াল ফান্ডের উপরে। আর তাতেই আপনি লাভ করতে পারেন প্রায় ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত। কী ভাবে জানেন?
৩৫/১০/১২ সূত্র - মাত্র ২০০০টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করে যদি আপনি কোটিপতি হতে চান, তাহলে সেই স্বপ্নও বাস্তব হওয়া সম্ভব। শুধু বিনিয়োগের সময় মেনে চলতে হবে ৩৫/১০/১২ সূত্র। কী এই ৩৫/১০/১২ সূত্র?
৩৫/১০/১২ সূত্র অনুসারে, ১০ মানে ১০ শতাংশ টপ-আপ। ২০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। তবে সেখানেই থেমে থাকলে হবে না। প্রত্যেক বছরে ১০ শতাংশ টপ-আপ যোগ করতে হবে। ৩৫ মানে ৩৫ বছর মেয়াদী SIP করতে হবে যার রিটার্নের অঙ্ক হবে ১২% শতাংশ।
যদি আপনি ২০০০ টাকা দিয়ে SIP শুরু করেন, বার্ষিক ১০% টপ-আপ করেন এবং ৩৫ বছর ধরে এই পদ্ধতিতে SIP চালিয়ে যান এবং যদি আপনি এতে ১২% পর্যন্ত রিটার্ন পান, তাহলে ৩৫ বছরে আপনি ৩ কোটি টাকার মালিক হতে পারবেন। কী ভাবে জানেন?
ধরুন, আপনি ২৫ বছর বয়সে ২০০০ টাকার একটি SIP শুরু করলেন এবং পরের বছর থেকে এর উপর ১০ শতাংশ টপ-আপ শুরু করলেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ২০০০ টাকা জমা করলেন, এক বছর পর আপনি তা ২০০০ এর ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন, ফলে পরিমাণ হয়ে গেল ২,২০০ টাকা।
পরের বছর, আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ২,২০০টাকা। কারণ ১০%, অর্থাৎ ২২০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন। এইভাবে, তৃতীয় বছরে, আপনার SIP হয়ে গেল ২,৪২০ টাকা। একইভাবে, আপনাকে SIP-তে ১০ শতাংশ পরিমাণ যোগ করতে হবে।
৩৫ বছরে, আপনি ৩৫ বছরে মোট ৬৫,০৪,৫৮৫ টাকা বিনিয়োগ করবেন। যদি এর উপর রিটার্ন ১২ শতাংশ হিসাব করা হয়, তাহলে আপনি কেবল সুদ থেকে ২,৫০,২৫,০৬৮ টাকা পাবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার মোট তহবিলের পরিমাণ হবে ৩,১৫,২৯,৬৫৩ টাকা। দীর্ঘমেয়াদী SIP-তে, আপনি প্রায় ১২ শতাংশ রিটার্ন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।