Guns And Ammunition Law: আজব আইন! বাড়িতে বন্দুক না থাকলে পুলিশ এসে ধরবে
Guns And Ammunition Law: ১৯৮০ সালে প্রথম এই আইন প্রণয়ন করা হয়। শহরের প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সেই সময়ে সরকারের তরফে উদ্যোগ নিয়ে এই আইন প্রণয়ন করা হয়।
1 / 8
বাড়িতে একটা বন্দুক রাখতে গেলে অনেক হ্যাপা। চাইলে বাজার থেকে বন্দুক কিনে আনা যায় না। যখন তখন সেই সব বন্দুক ব্যবহার করা যায় না। বন্দুক বাড়িতে রাখতে হলে বা কিনতে গেলে তার জন্য অনুমোদন পত্র বা লাইসেন্স প্রয়োজন। তবে এমন এক শহর আছে যেখানে বন্দুক রাখাটাই স্বাভাবিক। বরং বন্দুক না রাখলেই হতে পারে জেল। কোথায় জানেন?
2 / 8
আমেরিকার জর্জিয়ার ছোট্ট শহর কেনেসী। এখানেই রয়েছে সেই অদ্ভুত আইন। এই শহরের প্রত্যেক বাড়ির সদস্যদের মাথাপিছু অন্তত একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ থাকতেই হবে। এটাই নিয়ম।
3 / 8
১৯৮০ সালে প্রথম এই আইন প্রণয়ন করা হয়। শহরের প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সেই সময়ে সরকারের তরফে উদ্যোগ নিয়ে এই আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইন অনুসারে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় প্রতিটি পরিবারের প্রধানকে গোলাবারুদ সহ অন্তত একটি করে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে হবে।
4 / 8
তবে এই আইন নিয়ে শহরবাসীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বন্দুক রাখার আইন নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন, শহরের সাংস্কৃতিক পরিচয় বলেও দাবি করেন। অনেকেই এই আইনের বিপক্ষে।
5 / 8
তবে আইন অনুসারে সবার কাছেই যে বন্দুক রাখতে হবে বিষয়টা এমন নয়। কেউ যদি মানসিক বা শারীরিক ভাবে অক্ষমতার স্বীকার হন তাহলে তাঁর কাছে বন্দুক থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়। এছাড়াও কেউ যদি অপরামূলক কাজের সঙ্গে অতীতে বা বর্তমানে যুক্ত হয়ে থাকেন অথবা কট্টরপন্থী কোনও ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলে তাঁদের কাছে বন্দুক থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়।
6 / 8
আইনের কার্যকারিতা সম্পর্কে ভিন্ন মতামত রয়েছে। বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় ব্যাপটিস্ট চার্চের একজন গ্রাউন্ডকিপার জানান, প্রত্যেকের কাছে বন্দুক থাকলে তা গোটা সম্প্রদায়ের মধ্যে অপরাধ মনস্কতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।
7 / 8
কেনেসী অপরাধের পরিসংখ্যান সেই প্রবণতার দিকেই নির্দেশ করে। কেনেসী পুলিশ বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে এই শহরে কোনও খুনের ঘটনা ঘটেনি। তবে দু'জন নিজেদের বন্দুকের সাহায্যে আত্মহত্যা করেছিল।
8 / 8
গান ব্যারেল সিটি, টেক্সাস, ভার্জিন এবং উটাহ সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও পাঁচটি শহরে অনুরূপ বন্দুক আইন পাস করা হয়েছে। যদি এই আইন নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। তবে কেনেসী শহরে অপরাধ কমাতে এই আইনের প্রভাব রয়েছে তা মেনে নেন অনেকেই।