আড়াইশো বছরের বেশি পুরানো প্রাচীন কালীপূজা আজও চলে আসছে রীতিনীতি মেনে। হাড়োয়া মানেই ইতিহাসের নানান অধ্যায় নানান কাহিনী। ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হাড়োয়ার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। আর সেই নদীর অনতিদূরে খলিসাদি গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন সুন্দরবনের অরণ্য কালী মন্দির।
কথিত আছে, আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জলস্ফিতি হয়ে বন্যায় ভেসেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় সুন্দরবনের জঙ্গলে বিদ্যাধরী নদীর পাশে এক সাধু জঙ্গলের মঙ্গলের জন্য এই অরণ্য কালীর যজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তারপর একটু একটু করে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে একটি মন্দির। বর্তমানে অরণ্য কালিবাড়ি বলে পরিচিত।
এই পুজোর দায়িত্ব গ্রামেরই ভট্টাচার্য্য পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে গ্রামবাসীরা। তখন থেকেই ভট্টাচার্য্য পরিবার এই পূজার দেখাশোনা করে আসছে।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এখানকার মা কালী খুবই জাগ্রত, এক মনে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। আর তার জন্যই শক্তির আরাধনায় মেতে ওঠা। শ্যামা পুজোর দিন প্রতিবছর পূজা উপলক্ষে প্রচুর পাঠা বলি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফলও বলি দেওয়া হয়। খিচুড়ি ভোগ তৈরি হয়।
পুজো উপলক্ষে এই কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে বহু দূর দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে খলিসাদি গ্রামে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর জেরে নিয়ম রক্ষার্থে পূজা হয়েছিল। কোন জমায়েত করা হয়নি। তবে এবার ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো করা হবে বলে জানান পুজো উদ্যোক্তা ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যরা।