
অফিস-বাড়ি, বাড়ি-অফিস! এই করেই যেন দিন চলে যায়। আর অন্য কিছু করার সময় থাকে না। এদিকে অফিসে বসে বসে কাজ করে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে মেদ।

অথচ রোজকার দৌড় ঝাঁপের জীবনে একটু যে শরীর চর্চা করবেন তার সময় নেই। তার উপর রোজ টিফিনে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া তো রয়েছেই। আর সেটাই যেন হয়ে উঠেছে আরও সমস্যার মূল।

রোগা হতে চাইলে কিন্তু আগে বাইরের খাবার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে হবে। না হলে কোনও লাভ নেই। তার চেয়ে বরং বাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিট খরচ করে বানিয়ে নিন 'হেলদি টিফিন'। যা খেলে ভরবে পেট, মন দুই। সঙ্গে উপরি পাওনা কমবে ওজন।

স্প্রাউট স্যালাড - কল ভেজানো ছোলা দিয়ে এই স্যালাড খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। কল বেরোনো ছোলার সঙ্গে একটু টম্যাটো কুচি, শসা কুচি, লেবুর রস চিপে নিন। অল্প করে ছড়িয়ে দিন ভাজা মশলা এবং চাট মশলা বা বিট নুন। ব্যস তাহলেই তৈরি আপনার দুপুরের টিফিন।

সবজির কাটলেট - এখন সারা বছর পাওয়া যায় বিট-গাজর। মিক্সিতে বিট, পালং বা অন্য কোনও শাক, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং কাঁচা লঙ্কা সব একসঙ্গে দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে ওটস মিশিয়ে নিন। তারপরের হাতে সামান্য তেল মেখে ইছা মতো আকারে গড়ে নিন পেস্টটিকে। নিয়ে কড়াইয়ে তেল ব্রাশ করে হালকা আঁচে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। ব্যস আপনার কাটলেট তৈরি। অতিরিক্ত তেল একটি টিস্যু পেপারের সাহায্যে শুষে নিতে পারেন।

কিনোয়া উপমা - কিনোয়া সিদ্ধ করে অল্প ঘি দিয়ে কড়াইয়ে ভাল করে নেড়ে চেড়ে নিন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন সর্ষে, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি এবং লঙ্কা। ইচ্ছা হলে পছন্দের কিছু সবজি মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে আলু না দেওয়াই ভাল।

ডালের ছিলা - প্রথমে মুগ ডাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর সেই ভিজানো ডাল, আদা, গাজর, লঙ্কা, সামান্য হলুদ দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। একটি প্যানে সামান্য তেল ব্রাশ করে নিয়ে হালকা আঁচে ধোসার মতন করে ভেজে নিলেই তৈরি মুগ ডালের ছিলা।

ওটসের প্যান কেক - একটি পাত্রে ওটস নিয়ে ভিজিয়ে নিন। তাতে অল্প টম্যাটো কুঁচি, লঙ্কা কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি সব দিয়ে একটি মধ্যম ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তারপর একটি প্যানে হালকা তেল মাখিয়ে নিয়ে গোল করে সেই মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন। তারপর হালকা আঁচে ভেজে নিন। তৈরি ওটসের প্যান কেক।