
ওজন কমাতে গিয়ে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। তাই ডায়েটে রাখতে হবে ডিম। ডিমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই ডিম খেলে আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকবে। তাছাড়া ডিমে ক্যালোরির পরিমাণও কম।

ডিমের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই ওজন কমানোর সময় ডিম খেলে দেহে কোনও পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না।

ওজন কমানোর সময় মাংসপেশির কার্যকারিতা সচল রাখা দরকার। যেহেতু ওজন কমানোর আপনাকে যোগব্যায়ামও করা হয়। এসময় ডিম খেলে এর মধ্যে থাকা প্রোটিন মাংসপেশির টিস্যু পরিচালনা করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

অনেকেই বুঝতে পারেন না ডিম সেদ্ধ করে খাবেন নাকি ডিম ভাজা বানিয়ে। এমনকী অনেকে ডিমের কুসুম খেতেও ভয় না। কিন্তু কোন উপায়ে ডিম খেলে ওজন কমবে জানেন? রইল ডিম খেয়ে ওজন কমানোর উপায়।

ডিম সেদ্ধ করে খেতে পারেন। নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারেন। তবে আপনি ডিমের হলুদ অংশ খেতে পারবেন কিনা, সেটা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়া ভাল। স্বাস্থ্যের সমস্যা না থাকলে আপনি ডিমের কুসুমও খেতে পারেন।

পালংশাকের সঙ্গে ডিম ভেজে খেতে পারেন। এক পলা অলিভ অয়েল গরম করুন। এর মধ্যে পালং শাক দিয়ে দিন। পালং শাক একটু নরম হয়ে গেলে এতে ডিম ভেজে নিন। নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খান এই পদ।

ডিমের স্যালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। ২টে ডিম সেদ্ধ করে নিন। ডিমগুলো ছোট-ছোট আকারে কেটে নিন। অল্প করে পালং শাক ভেজে নিন। পালং শাক, বাঁধাকপির পাতা, পেঁয়াজ কুচির সঙ্গে ডিম সেদ্ধ মিশিয়ে দিন। মেয়োনিজ, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো ও অল্প অলিভ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ডিমের স্যালাদ।

ওমলেট বানিয়ে খেতে পারেন। ১/৪ কাপ মাশরুম ও পালং শাক সতে করে নিন। ডিম ফেটিয়ে নিন। অল্প মাখন গরম করুন। এর মধ্যে ডিম দিয়ে দিন। এর মধ্যে মাশরুম ও পালং শাক দিয়ে ভেজে নিন। তৈরি ওমলেট।