আগেকার দিনে এত বেশি কোল্ড ক্রিমের চল ছিল না। কিন্তু তা বলে কি, মা-ঠাকুমারা ত্বকের যত্ন নিতেন না? তখন ক্রিমের বদলে রমরমিয়ে বিক্রি হত গ্লিসারিন। শীতকালে ত্বকের যত্নে সেরা ফল দেয় গ্লিসারিন।
তৈলাক্ত হোক বা সংবেদনশীল, যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী গ্লিসারিন। আজকাল বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরিতেও গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেয় গ্লিসারিন।
গ্লিসারিন ত্বকের উপর জলের পরিমাণ বজায় রাখে। এই প্রাকৃতিক উপাদানের ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি বলিরেখা ও দাগছোপ কমায়। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে।
গ্লিসারিন একটু ভারী প্রকৃতির হয়। ত্বকের উপর সরাসরি মাখা যায় না। এতে ত্বকে চ্যাটচ্যাটে ভাব থাকে। তাই গোলাপ জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
গ্লিসারিন ব্যবহারের আগে সবসময় মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর ১/২ কাপ জলে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। এতে তুলোর বল ডুবিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এই উপায়ে গ্লিসারিন ব্যবহার করলেও ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে।
ত্বক পরিষ্কারের জন্যও আপনি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ কাপ জলে ১/২ চামচ গ্লিসারিন ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে ত্বক উপর মালিশ করুন। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায় গ্লিসারিন। স্প্রে বোতলে মিনারেল ওয়াটার নিন। এতে ২-৩ ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। এবার টোনার মুখে স্প্রে করলে রোমকূপের মুখ বন্ধ হবে এবং ত্বক টানটান হয়ে উঠবে।
১ চামচ মুলতানি মাটি ও ১ চামচ আমন্ডের পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে ২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আর ভোগাবে না।