শীতকালের পরম বন্ধু হোক আমলকি। আয়ুর্বেদের মতে, আমলকিকে মহাঔষধি বলা হয়।কারণ, ১০০ গ্রাম আমলকিতে ৪৫০ গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। শীতকালে আমলকি খেলে আপনি একাধিক রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
শীত পড়ার মুখে সর্দি-কাশি সমস্যা লেগেই থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে গোটা শীত জুড়ে খুসখুসে কাশি, সর্দি লেগেই থাকে। এই অবস্থায় রোজ আমলকি খেতে পারলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ ছাড়াও হার্টের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও কমানো যায় আমলকি খেয়ে। কিন্তু কোন উপায়ে আমলকি খাবেন? রইল টিপস।
বাঙালি শীতকালে আমলকি কেটে নুন-লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকনো করতে দেন। এভাবে আমলকি খেলেও উপকার মিলবে। আমলকির ছোট ছোট টুকরো করে নুন ও লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটা এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রেখে দিন।
রোজ সকালে আমলকির রস পান করতে পারেন। আমলকি ছেঁচে তার থেকে রস বার করে নিন। সেটা গরম জলে মিশিয়ে পান করুন। সকালে খালি পেটে এভাবে আমলকির রস পান করতে পারেন।
কাজে বেরোনোর তাড়া থেকে তাই ব্রেকফাস্টে স্মুদি খেয়ে বেরোন? আমলকির স্মুদি বানিয়েও পান করতে পারেন। কলা, বেরি বা কমলালেবুর মতো ফল দুধ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে স্মুদি বানান। তাতে এক টুকরো আমলকিও ফেলে দিতে পারেন।
আমলকির চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন। তাজা আমলকির সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা, পুদিনা পাতা ও এক চিমটে নুন দিয়ে আমলকির চাটনি বানিয়ে নিন। এই চাটনি আপনার দুপুরের খাবারে স্বাদ যোগ করবে এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দেবে।
আমলকির আচার বানিয়ে রেখে দিতে পারেন। আমলকির আচার খেলে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি প্রোবায়োটিকও পেয়ে যাবেন। সর্ষের তেল, গোটা লাল লঙ্কা, কালো জিরে, গোলমরিচ ও বিভিন্ন মশলা দিয়ে বানিয়ে নিন আমলকির আচার। আমলকির আচার রোদে রাখতে ভুলবেন না।