মেটাবলিজম ভাল না হলে ওজন কমানো খুব কষ্টকর হয়। বিপাক হারকে ঠিক রাখার জন্য ডায়েট ও এক্সারসাইজ দুটোই সমান তালে দরকার। এতে কিন্তু মেটাবলিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন খুব সহজে।
ওজন কমানোর জন্য প্রথম দিকে অনেকেই ডায়েট চার্ট বানিয়ে খাবার খান। কিন্তু সারা জীবন যদি সঠিক ওজন বজায় রাখতে চান, তাহলে ডায়েট চার্টের দরকার নেই। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই চলবে।
খাবার খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর দিন। অস্বাস্থ্যকর খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। এছাড়া ডিনারের দিকে বিশেষ নজর দিন। সন্ধে ৬টার পর এমন কোনও খাবার খাবেন না, যা ওজন বাড়াতে পারে কিংবা হজমের গণ্ডগোল ডেকে আনতে পারে।
সন্ধেবেলা হলেই মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। ফুচকা, মোমো, চাউমিন, এগরোলের প্রতি ভালবাসা কমান। এগুলো হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং ওজন বাড়ায়।
মাঝেমধ্যেই সন্ধেবেলা পিৎজা, বার্গার খান। এই ধরনের খাবারে প্রক্রিয়াজাত মাংস ব্যবহার করা হয়। এগুলো রক্তে খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এসব খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা ডেকে আনে।
ডিনারে পাঁঠার মাংস না খাওয়াই ভাল। মাটন লাঞ্চে খান। এতে খাবার হজম হওয়ার জন্য অনেকটা সময় পাবে। সন্ধের পর রেড মিট খেলে হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ওজন ও কোলেস্টেরল বাড়বে।
চিজ দেওয়া আছে এমন খাবার সন্ধের জলখাবারে কিংবা ডিনারে খাবেন না। চিজ সমৃদ্ধ খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি করে এবং নানা শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে।
বিকালের পর চা-কফি এড়িয়ে চলুন। এগুলো অনিদ্রার সমস্যা বাড়ায় এবং সেখান থেকে ওজন বাড়ে। একইভাবে, সোডাযুক্ত নরম পানীয়ও খাবেন না। এই ধরনের কার্বনেটেড পানীয়তে অত্যধিক পরিমাণে চিনি থাকে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। কোল্ড ড্রিংক্স খেলে আপনি ওবেসিটির শিকার হতে পারেন।