রূপচর্চার দুনিয়ায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার নতুন নয়। প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের পরিচর্চায় কাঁচা হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শহুরে জীবনযাত্রায় কাঁচা হলুদের বদলে অনেকেই হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করেন। কিন্তু কস্তুরি হলুদ কোনওদিন ব্যবহার করে দেখেছেন?
দক্ষিণ ভারতে ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে এই কস্তুরি হলুদের। এই কস্তুরি হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কস্তুরি হলুদ ব্রণ দূর করে, ট্যান দূর করে এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমিয়ে দেয়।
কস্তুরি হলুদের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যদি নিয়মিত কস্তুরি হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের যাবতীয় দাগছোপ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
এক চামচ দুধ নিন। এতে এক চিমটে কস্তুরি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভাল করে ত্বকের উপর লাগান। ১৫ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একদিন অন্তর রাতে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল হবে।
গরমে মুখে তেলতেলে ভাব বেড়েছে? ১ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে এক চিমটে কস্তুরি হলুদ মিশিয়ে নিন। এতে লেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটা মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে দেবে।
ব্রণ দূর করতেও সাাহায্য করে কস্তুরি হলুদ। কস্তুরি হলুদ ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। নিম পাতা বাটার সঙ্গে এক চিমটে কস্তুরি হলুদ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক আপনার ব্রণর সমস্যা দূর করে দেবে।
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের উপর ট্যান ফেলে। বেসনের সঙ্গে কস্তুরি হলুদ ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের সমস্ত ট্যান দূর হয়ে যাবে।
মুখের যাবতীয় দাগছোপ দূর করতেও সহায়ক কস্তুরি হলুদ। ১ চামচ টকদইয়ের সঙ্গে কস্তুরি হলুদ মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ত্বকের উপর ভাল করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।