ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মাইক্রোওয়েভ কাজকে অনেক সহজ করে দেয়। একদিন রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজে থেকে বের করে মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিলেই কাজ শেষ।
অনেক সময় আগের দিন রান্না করা বা রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার করা খাবারও বেঁচে যায়। সেগুলোও পরদিন মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া হয়। কিন্তু চাইলেই আপনি সব ধরনের খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করতে পারবেন না।
ফ্রিজে ডিম সেদ্ধ পড়ে রয়েছে? সেটা পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেতে চান? খোসা সমেত ডিম সেদ্ধ মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। এতে যেমন খোসা ফেটে যেতে পারে, তেমনই ডিমের স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
একইভাবে, রান্না করা ভাত মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাবেন না। ভাতও অনেক সময় বেশি হয়ে গেলে ফ্রিজে তুলে রাখা হয়। আবার সেটা মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া হয়। এই ভাত খেলে হজমের গন্ডগোল হতে পারে।
রাতের সবজির তরকারি বেঁচে গিয়েছে, তাই ফ্রিজে তুলে রেখেছেন। পরদিন সেই তরকারি আবার মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাচ্ছেন? এতে সবজির তরকারির কোনও পুষ্টিগুণই পাবেন না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাংস বেশি রান্না করা হলে ফ্রিজে তুলে রাখা হয়। সেটা পরে মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া হয়। কিন্তু এতে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। মাংসের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে এবং মাংসের স্বাদও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আলুর তরকারিও পুনরায় মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাবেন না। আলুর মধ্যে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ থাকে। মাইক্রোওয়েভে গরম করে আলু খেলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
মাশরুম তাজা খাওয়াই ভাল। রান্না করা মাশরুম মাইক্রোওয়েভে গরম করে খেলে তা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি এই মাশরুম খেলে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই মাইক্রোওয়েভে মাশরুমের পদ গরম করা এড়িয়ে চলুন।