ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কখনও ভিটামিন সি সিরাম, কখনও হাইড্রেটিং মাস্ক। কিন্তু সব প্রসাধনীই যে একইভাবে ত্বকের উপকার করে, তা নয়। অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ফেলে ত্বকের উপর।
বাজারচলতি প্রসাধনীর চাইতে প্রাকৃতিক উপাদান অনেক বেশি লাভ এনে দেয় ত্বকে। এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে, যার নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা কমে। আর এসব উপাদানগুলো আপনার হেঁশেলেই মজুত রয়েছে। এই উপাদানগুলো কী-কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মধু। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে মধু।
সামনেই আসছে শীতকাল। ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে নারকেল তেল মাখা শুরু করুন। নারকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া নারকেল তেল চুলে হাজারো সমস্যার সমাধান করে। মেকআপ তুলতেও আপনি নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতে লেবুর রস মাখা শুরু করুন। লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে, মুখে সরাসরি লেবুর রস লাগাবেন না। ফেসপ্যাকে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করুন কাঁচা দুধ। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের কোমলতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করে দুধ।
ট্যান ভর্তি মুখে বেসন মাখুন। এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনবে বেসন। ত্বকের যত্ন নিতে আপনি বেসনের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন বেসন দিয়ে মুখ ধুলেও আপনি উপকার পাবেন।
স্পর্শকাতর ত্বকে মাখুন ওটমিল। ওটমিল ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি স্পর্শকাতর ত্বকে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না ওটমিল।