এই শীত-গরমে বাড়িতে বাড়িতে সর্দি-কাশি লেগেই রয়েছে। একবার ঠান্ডা লাগলে সচরাচর তার থেকে কেউ মুক্তি পাচ্ছে না। টানা ১৫ দিন ধরে ভুগতে হচ্ছে এমনটাও হচ্ছে। এবার পৌষেও জাঁকিয়ে শীত পড়ল না
কখনও ঠান্ডা-কখনও গরমে অস্বস্তি আরও বেশি বাড়ছে। জ্বর, কফ হলে তখন খিদের ইচ্ছেও থাকে না। আর তাই মুখের স্বাদ ফেরাতে টমেটো দিয়েই রেঁধে নিন মৌরলার টক। খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই মুখও ছাড়বে
পুষ্টিবিদরাও সব সময় ছোট মাছ খাওয়ার কথা বলেন। মৌরলা মাছ বেছে নিয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। কড়াতে সরষের তেল গরম করে মাছ গুলো দিয়ে প্রথমে ভেজে নিতে হবে
খুব কড়া করে ভাজা হবে না। বাকি মাছ কড়াইতে দিয়ে ভেজে নিয়ে মাছ তুলে নিন। শুকনো লঙ্কা, কালো সরষে, রাঁধুনি দিয়ে একবাটি টমেটো ছোট টুকরো করে দিন। স্বাদমতো নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে
এবার এতে কাঁচালঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, গোটা জিরে, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। লো মিডিয়াম আঁচে ভেজে নিয়ে পরিমাণ মত জল দিতে হবে। এই মাছের ঝোল পাতলা খেতেই বেশি ভাল লাগে
ব্যাস তৈরি চুনো মাছের ঝোল। গরম ভাতে মাছের এই পাতলা ঝোল মাখিয়ে খেতে খুবই ভাল লাগে। নদীর মৌরলা হলে এই ঝোল খেতে বেশি ভাল লাগে। টাটকা মাছ দেখে তবেই কিনুন
অনেক সময় টমেটোতে ততটাও টক হয় না। সেক্ষেত্রে সবুজ টমেটো দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন এই মাছের টক। মুখ তো ছাড়বেই সেই সঙ্গে ভিটামিন সি থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে
রাতকানা রোগ সারিয়ে দিতে পারে মৌরলা মাছ। ভিটামিন এ-তে ভরপুর এই মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। হার্টের জন্য খুব উপকারী এই মাছ। এছাড়াও ক্যালসিয়ামে ভরপুর বলে দাঁত ও হাড় মজবুত হয়