অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়ার জন্যই বাড়ে কোলেস্টেরল, দেখা দেয় হৃদরোগের সম্ভাবনা। তবু মানুষ ভাজাভুজি খাওয়ার প্রতি লোভ সামলাতে পারে না। তাই ভাজাভুজি রান্নার সময় সহজ টোটকা মানতে পারেন। এতে কম তেল প্রবেশ করবে শরীরে।
ফ্রাই বানানোর সময় নতুন কড়াই ব্যবহার করুন। যদিও প্রতিবার নতুন কড়াই ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কিন্তু নতুন কড়াইতে ভাজাভুজি রান্না করলে তেল কম লাগে। তাই কড়াই ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে পুনরায় ব্যবহার করুন।
চিকেন পকোড়া, আলুর চপ, বেগুনি ভাজতে হলে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে নিন। কোটিং ভাল করে নিন। কিন্তু কোটিং পাতলা করার চেষ্টা করুন। এতে কম তেল শোষণ করে।
কম তেল ব্যবহার করুন। যতটা পরিমাণ কম তেলে ভাজা যায়, ততটাই ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে আপনি এয়ার ফ্রায়ারে ভাজাভুজি রান্না করতে পারেন। এতে নামমাত্র তেলের প্রয়োজন পড়ে।
সবজি, মাছ, মাংস সরাসরি ভাজার বদলে প্রথমে সেদ্ধ করে নিন। আধ সেদ্ধ করে নিয়ে ভাজলে কম তেল প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি কম সময়ের মধ্যে ভাজাও হয়ে যায়।
ছাঁকা তেলে ভেজে নেওয়ার পর একটি টিস্যুর উপর খাবারটা রাখুন। কাগজ সমস্ত তেল শুষে নেবে। প্রয়োজনে আপনি খবরের কাগজ বা পেপার টাওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
ভাজাভুজি রান্না করার সময় ভুলেও পুরনো তেল ব্যবহার করবেন না। পুরনো তেল ব্যবহার করলে গ্যাস-অম্বল, বুক জ্বালার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই একই তেলে দু'বার রান্না করবেন না।
যখন কোনও খাবার তেলে ভাজবেন, কড়াইতে তেল গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ঠান্ডা তেল খাবারের সঙ্গে জমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তেল ভাল করে গরম করে তারপর তাতে সবজি বা মাছ-মাংস দিন।