মুখরোচক স্ন্যাকস হিসেবে মানুষ যা খান, তার বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর। চিপস, চপ, পকোড়া, পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচের মতো খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের উপকার করে না। বরং, এসব খাবারে বাড়ে ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বেছে নিতে পারে মাখানাকে। বাঙালিদের মধ্যে মাখানা খাওয়ার চল নেই বললেই চলে। কিন্তু পদ্ম গাছের পাতার তলায় পাওয়া এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আর খেতেও সুস্বাদু।
মাখানার মধ্যে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ডায়েটে মাখানা রাখা জরুরি। মাখানায় ক্যালোরির পরিমাণ কম। মাখানা স্ন্যাকস হিসেবে খেলে আপনার চটজলদি খিদেও পাবেন না।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে মাখানার মধ্যে। কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে এবং মজবুত হাড় গঠনে সাহায্য করে।
মাখানা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। ১০০ গ্রাম মাখানা ১/২ চামচ মাখন দিয়ে ভাল করে রোস্ট নিন। তারপর এতে নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তৈরি রোস্টেড মাখানা। এই রোস্টেড মাখানা কিছুটা চিপসের মতোই মুচমুচে খেতে।
স্ন্যাকসে মাখানার তৈরি রায়তাও খেতে পারেন। টক দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার সঙ্গে মাখানা মিশিয়ে দিন। পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে দিন। এবার এতে একে-একে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন মিশিয়ে দিন। তৈরি মাখানার রায়তা।
মাখানার পোরিজও খেতে পারেন। শুকনো কড়াইতে মাখানা নেড়ে নিন। তারপর বেলনের সাহায্যে মাখানাগুলো বেলে নিন। এতে মাখানা নরম হয়ে যাবে। এবার দুধের সঙ্গে মাখানা, আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, দারুচিনির গুঁড়ো, কোকো পাউডার মিশিয়ে দিন। এটা সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরদিন সকালে খান এই মাখানার পোরিজ।
মাখানার পরোটা বানিয়ে খেতে পারেন। রোস্ট করা মাখানা ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার মাখানার গুঁড়োর সঙ্গে আটা, সেদ্ধ আলু ভাল করে নিন। তারপর পরোটা বানিয়ে নিন। আচারের সঙ্গে খেতে পারেন মাখানার পরোটা।