রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার কমবেশি সকলেরই জানা। যুগ যুগ ধরে এই ভেষজ উপাদানটি ব্যবহার হয়ে আসছে ত্বক ও চুলের যত্নে। কিন্তু সাবান হিসেবে কখনও অ্যালোভেরাকে ব্যবহার করে দেখেছেন?
অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের খেয়াল রাখে। অ্যালোভেরা জেল যেমন ব্রণর সমস্যা কমায়, ক্ষত নিরাময় করে তেমনই সানবার্ন দূর করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের উপর অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়। এটি অ্যালোভেরাকে গুণাগুণকে ত্বকের উপর ব্যবহার করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। তবে অ্যালোভেরার সাবান বানিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
বাজারচলতি সাবানের মধ্যে ক্ষার এবং অন্যান্য কেমিক্যাল থাকে। ক্ষারযুক্ত সাবান আমাদের ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। এছাড়া এতে ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য এবং প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ির তৈরি অ্যালোভেরার সাবানে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই।
একটা অ্যালোভেরার পাতা কেটে নিন। এবার কাটা মুখটা মিনিট পনেরো জলে ডুবিয়ে রেখে দিন। অ্যালোভেরার হলুদ রসটা বেরিয়ে যাবে। এটা ক্ষতিকারক। এরপর পাতার খোসা ছাড়িয়ে চামচের সাহায্যে জেলটা বের করে নিন।
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর তেল মিশিয়ে নিন। এবার এক কাপ জলে ৬-৭ চামচ কস্টিক সোডা মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটা যেন আঁঠালো না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণটা মিশিয়ে দিন।
কস্টিক সোডার মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ও টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি সাবানের ছাঁচে রেখে ঠান্ডা করুন।
ঘণ্টাখানেক পর দেখবেন সাবান জমে গিয়েছে। তারপর এই সাবানটি এই ছাঁচে রেখে দেবেন সারারাত। প্রয়োজনে ডিপ ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। এতে সাবান ব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। তারপর যত খুশি ব্যবহার করুন বাড়িতে তৈরি অ্যালোভেরা সাবান।