Uric Acid Level: মদ ছেড়ে রোজ লেবুর জলে চুমুক দিন, ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা কমে যাবে দু’দিনে
Juice for Lower Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ সাহায্য নিতেই হয়। তার সঙ্গে ডায়েটের উপরও নজর দিতে হয়।
হাঁটতে গিয়ে গোড়ালিতে ব্যথা পান? পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে গিয়েছে? গাঁটে গাঁটে মারাত্মক ব্যথা? এগুলো ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে শুধু যে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়, তা নয়। কিডনি, লিভার ও হার্টের উপরও প্রভাব পড়ে।
ইউরিক অ্যাসিড মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ সাহায্য নিতেই হয়। তার সঙ্গে ডায়েটের উপরও নজর দিতে হয়। পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবার ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হয়। অ্যালকোহল, মাটনের মতো খাবার এগুলো ইউরিক অ্যাসিডে খাওয়া উচিত নয়।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এক্ষেত্রে দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করা জরুরি। জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দিতে সাহায্য করে। এতে ইউরিনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যাবে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে আপনি শসার রস পান করতে পারেন। শসার মধ্যে পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এই মিনারেলগুলো শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। লেবুর রস দিয়ে শসার জুস পান করলে এটি শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।
তাজা গাজরের রস পান করা উচিত। গাজরের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। গাজরের রসে যেমন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, তেমনই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যদি শসা, গাজরের রস তৈরি করার সময় না থাকে, তাহলে লেবুর জল পান করতে পারেন। লেবুর রসের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি শরীরকে সংক্রমণের হাত তজেকে রক্ষা করে। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লেবুর জল।
চায়ে চুমুক দিয়েও কমানো যাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। আদা চা এই ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আদার মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আদা চা জয়েন্টের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
গ্রি টি পান করতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের বর্ধিত মাত্রা থেকে রেহাই পেতে আপনি গ্রি টিয়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।