এক সময় ভারতের প্রতিটা বাড়িতে দেখা পাওয়া যেত নারকেল তেলের। কোথাও ব্যবহার হত রান্নায়, আবার কোথাও রূপচর্চায়। হালফ্যাশনের যুগে রূপচর্চায় এখন নারকেল তেলের ব্যবহার কমেছে। কিন্তু এই সস্তার উপকরণ আজও আপনাকে নিখুঁত ত্বক ও চুল এনে দিতে পারে।
কয়েক শ'টাকা খরচ করে আর প্রসাধনী পণ্য কেনার প্রয়োজন নেই। বরং, ড্রেসিং টেবিলে নারকেল তেলকে জায়গা দিন। আপনার খরচও কমবে, পাশাপাশি আপনি পেয়ে যাবেন হাজারো উপকারিতা।
প্রতিদিন যদি চুলে নারকেল তেল মাখেন, তাহলে চুলের বেশিরভাগ সমস্যাই কমে যাবে। খুশকি, চুল পড়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা নিমেষে কমে যাবে নারকেল তেলের ব্যবহার করে। প্রতিদিন রাতে নারকেল তেল মেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
যদি প্রতিদিন চুলে নারকেল তেল দেওয়ার সময় না থাকে, তাহলে উইকএন্ডকে বেছে নিন। যে কোনও হেয়ার মাস্কে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এতেও আপনি নারকেলের উপকারিতা পাবেন।
নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই শুধু চুলে মাখলে চলবে না, ত্বকেও নারকেল তেল মাখতে হবে। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে আর কোনও ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন পড়বে না। এই তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ উপযোগী।
ঠোঁটের যত্নে লিপ বাম ব্যবহার করেন? লিপ বামের খরচও বাঁচিয়ে দিতে পারে নারকেল তেল। ঠোঁটের উপর অল্প করে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের সমস্যা নিমেষে দূর হবে। পাশাপাশি আপনি পাবেন গোলাপি আভা যুক্ত কোমল ঠোঁট।
স্নানের সময় হাতে-পায়ে নারকেল মালিশ করতে পারেন। এতে আর বডি লোশনের প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া বডি স্ক্রাবের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মৃত কোষ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
ওয়াক্সিং বা শেভিং করার পর ত্বক খুব শুষ্ক মনে হয়? এই সময় নারকেল তেল আপনার কাজে আসতে পারে। রেজার দিয়ে শেভিং করলে তারপর অবশ্যই নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক কোমল থাকবে।