সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ ভাপার দিন শুরু। বাজারে দেখা মিলতে শুরু করেছে ইলিশের। যদিও সর্ষে বাটা দিয়ে পাবদা, চিংড়িও মন্দ লাগে না। আবার উচ্চে-করলা, বেগুন, পটলের রান্নাতেও সর্ষে বাটা দিলে তার স্বাদ বদলে যায়।
চটজলদি মাছের রান্না সর্ষে বাটা দিলে তা খেতেও সুস্বাদু হয়। আর রান্না করতে খুব বেশি কসরতও হয় না। তবে, সঠিক উপায়ে সর্ষে বাটা দিয়ে রান্না না করলে খাবারের স্বাদ বাড়ার বদলে তেতো হয়ে যায়।
আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা শিল-নোড়া ব্যবহার করে সর্ষে বাটতেন। এখন সেই শিল-নোড়ার জায়গা দখল করেছে মিক্সি। বেশিরভাগ জন মিক্সিতেই সর্ষে বাটেন। আবার এখন তো বাজারে রেডিমেড সর্ষে বাটা পাওয়া যায়।
রেডিমেড ও প্যাকেটজাত সর্ষে বাটার স্বাদ খুব একটা ভাল হয় না। তার চেয়ে বাড়িতে সর্ষে বেটে নিলে তা ঝাঁজ ও গন্ধ দুটোই হয় মন মাতানো। কিন্তু সর্ষে সঠিক উপায়ে বাটতে হবে। না হলেই তার স্বাদ তেতো হয়ে যাবে।
সর্ষে বাটার আগে তা ঈষদুষ্ণ জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। সাধারণ জলও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর সর্ষে বাটলে তা তেতো লাগবে না। তাছাড়া এই উপায়ে সর্ষে দ্রুত বাটা হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে সর্ষে সংরক্ষণ করলে তার স্বাদ তেতো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দীর্ঘদিন ধরে মজুত থাকলে প্রথমে সর্ষেটা রোদে দিন। আধ ঘণ্টা সর্ষেটা রোদে রাখার পর তারপর সেটা বাটুন। অবশ্যই জলে ভিজিয়ে তারপর বাটবেন।
কখনওই শুধু সর্ষে বাটবেন না। এতে ঝাঁজ হলেও স্বাদ আসবে না। খাবারে সর্ষের স্বাদ পেতে কাঁচা লঙ্কার সঙ্গে সর্ষে বেটে নিন। এতে সর্ষের তেতোভাবও কেটে যাবে।
কাঁচা লঙ্কার পাশাপাশি আপনি নুন, হলুদ মিশিয়েও সর্ষে বাটুন। আর কালো সর্ষের সঙ্গে আপনি সাদা সর্ষে মিশিয়েও বাটতে পারেন। এই উপায়ে সর্ষে বাটলে তেতো লাগবে না। পাশাপাশি স্বাদও হবে খুব ভাল।