আমরা যে ভাবে মুখের যত্ন নিই, একই নজর দিই না পায়ের উপর। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নখ কাটা ছাড়া আর কোনও বিশেষ যত্ন নেওয়া হয় না পায়ের। কিন্তু ধুলোবালি, জল-কাদাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পায়ের চামড়া। পা ফাটা থেকে শুরু করে নখকুনি সমস্যা দেখা দেয়।
পায়ের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ঠিকমতো পা পরিষ্কার না করলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। অনেক সময় ভুলভাবে নখ কাটলে, সঠিক জুতো না পরলেও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়।
ছোট্ট নখকুনিও কিন্তু ফাঙ্গাল ইনফেকশনের লক্ষণ। প্রাথমিক পর্যায়ে পায়ের নখের খেয়াল না রাখলে সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এমনকী নখ পচেও যেতে পারে। যে কারণে আপনি নিয়মিত পা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
অনেকেই স্যালোঁতে গিয়ে পেডিকিওর করান। কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাড়িতে বিকল্প খুঁজে নিতে হবে। সাধারণত প্রতিদিন ভাল করে পা পরিষ্কার করলে এই ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন সহজেই এড়ানো যায়। এছাড়া সাহায্য নিতে পারেন ঘরোয়া প্রতিকারের।
হালকা গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এতে মিনিট দশেক পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। প্রয়োজনে আপনি এই সময় পা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে নিতে পারেন। বেকিং সোডা পায়ের দুরগন্ধ ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট দিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে নিতে পারেন। হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এটা দিয়ে পায়ের উপর হালকা হাতে স্ক্রাব করুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যায়।
এক গামলা জলে এক কাপ সাদা ভিনিগার মিশিয়ে দিন। ওই জলে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ভুগলে এই টোটকাটা টানা ১ সপ্তাহ মেনে চলুন। দূর হয়ে যাবে যাবতীয় সমস্যা।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে পা শুষ্ক রাখুন। এই প্রতিকারের সাহায্য নেওয়া পর অবশ্যই পা শুকনো ভাবে মুছে নিন। এরপর ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন। এতে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যাবে এবং আপনি কোমল পা পেয়ে যাবেন।