সরস্বতী পুজোর প্রসাদ হিসেবে খই, চিঁড়ে, মুড়কি এসব আনা হয়েই থাকে। ফল প্রসাদ তো থাকেই তেমনই শুকনো প্রসাদের মধ্যে থাকে বাতাসা, নকুলদানা, কদমা, সন্দেশ, নাড়ু ইত্যাদি
পুজোর পরদিন হয় দধিকর্মা। খই, মুড়কি, দই, বাতাসা, কলা, সন্দেশ, নারকেল দিয়ে মাখা হয় এই প্রসাদ। অনেক সময় দধিকর্মা মাখার পর অতিরিক্ত চিঁড়ে থেকে যায়। সেই চিঁড়ে দিয়ে বানিয়ে ফেলুন দারুণ একটি খাবার
শীত এখনও বিদায় নেয়নি। রোদ চড়া হলেও বিকেল হলেই কিন্তু ঠান্ডা লাগছে। আর তাই বানিয়ে নিন এই খাবার। ভোগের চিঁড়ে ভাল করে জল পাল্টে ধুয়ে নিয়ে ছাঁকনিতে রাখুন জল ঝারাতে। এবার এতে হাফ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন
কড়াইতে এক চামচ ঘি দিয়ে কাজু, কিশমিশ ভেজে নিতে হবে। ভেজে নিয়ে তা তুলে রাখুন। এবার জল ঝরানো ঝরঝরে চিঁড়ে দিন ঘি এর মধ্যে। মিনিট তিনেক নাড়াচাড়া করলেই হবে।
কড়াইতে দুধ গরম করতে বসান। দপধ গরম হলে ওর মধ্যে গুঁড়ো দুধ আর একটু এলাচ গুঁড়ো দিন। ভাল করে ফুটিয়ে দুধ জ্বাল দিতে হবে। এবার আগে থেকে ভেজে রাখা চিঁড়ে দুধে দিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিতে হবে
আগে থেকে ভেজে রাখা কাজু কিশমিশ দিয়ে পছন্দমতো মিষ্টি দিন। গ্যাস কমিয়ে পাঁচ মিনিট নাড়তে থাকুন। এবার ঘন হলেই গ্যাস বন্ধ করে দিন
তৈরি হয়ে গেল চিঁড়ের পায়েস। চিঁড়ে গলে নরম হয়ে যাবে না আবার গলেও যাবে না। বেশ সুন্দর শক্ত থাকবে। এই পায়েস খেতে লাগে খুবই ভাল। একবার বানিয়ে খেলে সবাই বার বার খেতে চাইবেন
চিঁড়ের পায়েস রবীন্দ্রনাথও খেতে খুব ভালবাসতেন। বেশ কিছু লেখায় উল্লেখ রয়েছে এই পায়েসের। কবি নিজেও খেতে খুব ভালবাসতেন। ঠাকুর বাড়িতে এই রান্নার বেশ চলও রয়েছে