তৈলাক্ত ত্বক বা শুষ্ক ত্বকের হাজারো সমাধান রয়েছে। কিন্তু কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক নিয়ে খুব বেশি কেউ মাথা ঘামায় না। কিন্তু কম্বিনেশন ত্বকের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কারণ একধরনের স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা যায় না। কম্বিনেশন স্কিন হলে গরমে তেলতেলে ভাব বাড়ে, তাহলে কোন উপায়ে খেয়াল রাখবেন ত্বকের?
কম্বিনেশন ত্বকের যত্ন নিতে আপনি আয়ুর্বেদের টিপস মেনে চলতে পারেন। ওয়াটার বেসড ক্লিনযার ব্যবহার করুন। মাইল্ড ক্লিনজার আপনার মুখের অতিরিক্ত সিরাম, ময়লা দূর করে দেবে। পাশাপাশি ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করবে। এতে আপনার টি-জোন তৈলাক্ত দেখাবে না।
সপ্তাহে ২-৩ বার ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। ওটস, আখরোট, কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করলে ত্বক স্ক্রাব করুন। আর রোজ টোনার ব্যবহার করুন। অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করবেন। টোনার হিসেবে আপনি গ্রিন টি বা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার কম্বিনেশন স্কিনে আর্দ্রতা বজায় রাখতে অবশ্যই সিরাম ব্যবহার করুন। আপনি ভিটামিন সি বা হাইলুরনিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। সিরাম মাখার ৫ মিনিট পর মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। আর সকালে সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না যেন।
কম্বিনেশন স্কিনের যত্ন নিতে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যও নিতে পারেন। ঘরোয়া ফেসপ্যাক আপনার কম্বিনেশন স্কিনের যত্ন নিতে পারে। পাকা পেঁপে চটকে মেখে নিন। এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকের লাগান।
টক দই কম্বিনেশন স্কিনের জন্য দারুণ উপকারী। টক দইয়ের সঙ্গে ল্যাক্টিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের উপর এক্সফোলিয়েটর ও হাইড্রেটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বকের উপর আপনি সরাসরি টক দই লাগাতে পারেন। এটি আপনার মৃত কোষ দূর করে, অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মুলতানি মাটির ফেসপ্যাকও কম্বিনেশন স্কিনের জন্য উপকারী। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লাকে দূর করে আপনাকে ম্যাট ফিনিশ লুক এনে দিতে পারে। এক চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমন্ডের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সারারাত ধরে আমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই আমন্ডের পেস্ট বানিয়ে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে দিন। তারপর এই ফেসপ্যাকটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে গিয়েছে।