যেভাবে আপনি ত্বক ও চুলের খেয়াল রাখেন, একই যত্ন নেন কি নখেরও? বেশিরভাগ মানুষই নখ যত্ন নেন না। কিন্তু সুন্দর ও বড় নখের স্বপ্ন দেখেন। নখের দেখভাল না করলে আপনার স্বপ্ন কিন্তু পূরণ হবে না।
হাত ও পায়ের নখের যত্ন নেওয়া জরুরি। কারণ নখে চটজলদি সংক্রমণের ভয় রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নখ কাটা ছাড়াও এর খেয়াল রাখতে হবে। নাহলে নখের বৃদ্ধি হবে না। পাশাপাশি নখ ভঙ্গুর হয়ে উঠবে।
আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ম্যানিকিওর করান, নখের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভাল উপায় আর কিছু নেই। এটি নখের চারপাশের চামড়াকে ময়েশ্চারাইজড করে তোলে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ম্যানিকিওর ছাড়া কীভাবে নখের যত্ন নেবেন, রইল টিপস।
ঘন ঘন নেলপলিশ পরবেন না। এটি নখের ক্ষয় বাড়িয়ে তোলে। আজকাল অনেকেই নেইল আর্ট বা এক্সটেনশন করান। অ্যাক্রালিক নখ ট্রেন্ডিং হলেও নখের জন্য উপযুক্ত নয়। এসব থেকে দূরে থাকুন।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরও নখ থেকে দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। অনেক সময় খাবার খাওয়ার পর নখ হলদে হয়ে থাকে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে হবে।
নখের উপর পাতিলেবুর টুকরো ঘষতে পারেন। লেবুর রসে ভিটামিন সি রয়েছে, যা জীবাণুর হাত থেকে নখ থেকে রক্ষা করে। পায়ের নখেও লেবুর টুকরো ঘষতে পারেন। পাশাপাশি লেবু নখের দুর্গন্ধ ও হলেদেটে ভাব দূর করে।
পাতিলেবু ছাড়া কমলালেবুর রসও নখের উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানও ভিটামিন সি'তে সমৃদ্ধ। তাই নখের উপর কমলালেবুর রস লাগালেও আপনি একই উপকার পাবেন। তবে কমলালেবুর রস লাগানোর পর হাতে ময়েশ্চারাইজার মেখে নেবেন।
নখের উপর নারকেল তেল বা বাদাম তেল লাগান। বাদাম তেল ও নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি নখের চারপাশের চামড়াকে নরম রাখে। পাশাপাশি নখের কিউটিকলের খেয়াল রাখে। রোজ রাতে নখে নারকেল তেল ও আমন্ডের তেল লাগিয়ে নিন।