খাবারে পাতে মুখে এলাচ পড়লেই মেজাজ বিগড়ে যায়। কিন্তু চায়ের সঙ্গে এলাচের দানা মিশিয়ে খেলে তৃপ্তি পাওয়া যায়। আর এভাবে যদি রোজ এলাচ দিয়ে চা পান করতে পারেন, তাহলে আরও উপকার পাবেন।
স্বাদ ও গন্ধের জন্য এলাচ যেমন দামী মশলা, তেমনই এর উপকারিতা অনেক। এলাচের মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক যৌগ রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ক্যানসার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে।
খাবারে এলাচ দিয়ে স্বাদ ভাল হয়। কিন্তু এলাচের উপকারিতা পেতে গেলে আপনাকে এলাচ দেওয়া চা পান করতে হবে। অবশ্যই তাতে দুধ কিংবা চিনি মেশালে চলবে না।
এক কাপ এলাচ চা আপনাকে হজন ক্ষমতা উন্নত করে দিতে পারে। এটি পেট ফোলা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমিয়ে দিতে সহায়ক। ভারী খাবার খাওয়া পর এক কাপ এলাচ চা পান করুন। এতে দারুণ কাজ হয়।
যাঁরা উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন, তাঁদের ডায়েটে এই এলাচ চা রাখা জরুরি। এলাচ চা হাইপারটেনশনের সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
একটু আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন? এই অবস্থা আপনাকে আরাম এনে দিতে পারে এলাচ চা। এলাচ চায়ের মধ্যে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা ঠান্ডা লাগার উপসর্গকে প্রতিরোধ করে।
দাঁত মাজার পরই মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ ছাড়ে? এমনকী মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁতের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন? এলাচ চা এই সব সমস্যা নিমেষে দূর করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে এলাচ চা পান না করলেও আপনি এলাচের দানা চিবোতে পারেন।
গরমে ত্বকে র্যাশের সমস্যায় ভুগছেন? এই সময় কাজে আসতে পারে এলাচ চা। এই চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আপনাকে এনে দেয় নিখুঁত ত্বক।