যতই জলের পোকা হোক না কেন চিংড়ির স্বাদই আলাদা। চিংড়ির মালাইকারি, চিংড়ি ভাপা, পটল চিংড়ি, কুমড়ো চিংড়ি... রান্নায় একটুকরো চিংড়ি পড়লেই স্বাদ খোলনলচে বদলে যায়।
মিক্সড ফ্রায়েড রাইসে ডিম, চিকেনের সঙ্গে একটু চিংড়ি পড়লে মন্দ হয় না। আবার নারকেল চিংড়ি, কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি, লাউ চিংড়ি... উফ কাকে ছেড়ে কাকে রাখবেন।
ইলিশ, চিংড়ি নিয়ে যতই দ্বন্দ্ব থাক না কেন চিংড়ি পাতে পড়লে সকলেই চেটে পুটে খান। চিংড়ির স্বাদের কোনও বিকল্প নেই। আর তাই চিংড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই পোলাও। একবার বানালে বার বার খেতে চাইবেন।
এরজন্য বাগদা চিংড়ি নিলেই সবচাইতে ভাল। ৪-৫ জনের রান্নার জন্য ৬০০ গ্রাম এই চিংড়ি নিতে হবে। সাড়ে চার কাপ জল প্রথমে গরম করতে বসান। এবার এই জল ফুটে হাফ কাপ হলে এর মধ্যে মশলার পুটুলি দিন।
একটা সুতির কাপড়ের মধ্যে আদার বড় টুকরো, শুকনো লঙ্কা ৫ টা, তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি, শা জিরে, শা মরিচ, ৫০ গ্রাম ছোলার ডাল দিয়ে একসঙ্গে বেঁধে নিন। জল ফুটতে শুরু করলে সেই পুটুলি ডুবিয়ে দিন।
এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ আলাদা করে থেঁতো করে নিতে হবে। এবার মশলার পুটুলি তুলে রেখে বাকি জল ছেঁকে নিতে হবে। কড়াইতে বেশ কিছুটা ঘি গরম করতে বসান। ওর মধ্যে দুটো বড় মাপের পেঁয়াজ কুচি করে ভাজতে দিন।
পেঁয়াজ ভাজা তুলে রেখে ওর মধ্যে সামান্য ঘি দিয়ে থেঁতো করে রাখা গরম মশলা দিন। এবার আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চাল জল ছেঁকে দিয়ে ভেজে নিন। চাল ভাজা হলে চিংড়ি মিশিয়ে ভেজে নিন। এবার কাজু, কিশমিশ আর সামান্য পেস্তা মিশিয়ে স্বাদমতো, নুন, চিনি, ছেঁকে রাখা মশলার জল মেশান। প্রয়োজনে আরও একটু জল দিতে পারেন।
ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ঢাকা রাখুন ১৫ মিনিট। জল শুকিয়ে আসলে দুধে ভেজানো কেশর ছড়িয়ে দিন ভাল করে। এরপর গাওয়া ঘি ভাল করে ছড়িয়ে দিয়ে এরপর অল্প চিনি আর ভেজে রাখা বেরেস্তা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন চিংড়ির পোলাও।