রান্নার সময় নন স্টিক প্যানের ব্যবহার বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। মাছ-মাংস লেগে যাওয়ার ঝামেলা নেই, সহজেই পরিষ্কার করা যায়। তাই রান্না করতেও অনেক সুবিধা হয়। তাই নন স্টিক প্যান এখন পছন্দের তালিকায় ১ নম্বরে।
রান্নার জন্য সুবিধাজনক হলেও শরীরের জন্য কিন্তু মোটে ভাল নয় এই নন স্টিক প্যান। কোনও পাত্রে নন স্টিকের যে আস্তরণ দেওয়া হয় তার মধ্যে থাকে পলিটেট্রাফ্লুরোথাইলিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদার্থ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। পরিবেশের জন্য খুব একটা ভাল নয়। দীর্ঘস্থায়ী রাসায়নিক উপাদান হওয়ায়, এটি সহজে ভাঙে না বা ক্ষয় হয় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পলিটেট্রাফ্লুরোথাইলিন শরীরে নিয়মিত প্রবেশ করলে তা হরোমোনের ভারসাম্যহীনতা, লিভার ও কিডনির ক্ষতি করে। এমনকি মারণ রোগ ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মতাই বলছেন, কালো নন স্টিক প্যান ব্যবহার না করে বদলে এখন বাজারে উপলব্ধ অনান্য ধরনের প্যান ব্যবহার করতে পারেন। যা অনেক ক্ষেত্রে নন স্টিক হয় আবার শরীরের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কী কী ধরনের পাত্রে রান্না কার ভাল?
সিরামিক প্যান - এখন বাজারে নন স্টিক প্যানের মতোই জনপ্রিয় সেরামিক পাত্র। এতে পলিটেট্রাফ্লুরোথাইলিন বদলে সেরামিক ব্যবহার করে প্রলেপ দেওয়া হয়। এই সেরামিক যুক্ত আবরণ নন স্টিক বটে। এতে রান্না করলেও সহজে খাবার লেগে যায় না। স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।
কাস্ট আয়রনের প্যান - এই ধরনের বাসনপত্র স্বাভাবিক ভাবে খানিকটা নন স্টিক ধর্মী। এতে তেল বা অনান্য রান্না সহজে লেগে যায় না। একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর অন্যদিকে তেমনই পরিবেশবান্ধব বলেই মনে করা হয় এই ধরনের পাত্রকে।
স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র - বাড়িতে প্রতিদিনের সাধারণ রান্নাবান্না করার জন্য স্টিলের পাত্র ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। তবে বেশি শুকনো বা দই জাতীয় পদ রান্না করলে একটু খেয়াল রাখতে হয়। না হলে ধরে যেতে পারে।
এসব প্যানে রান্না করার প্রধান সুবিধা হলো, এতে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে না, যা খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়ায় পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কম ফেলে। উচ্চ তাপমাত্রায় নিরাপদে রান্না করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের প্যান। (সব ছবি - Getty Images)