মহাশিবরাত্রিকে হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় এই উৎসব। এই বছর রাত ফুরোলেই মহাশিবরাত্রি। অনেকেই এই দিনে উপোস করে ব্রত পালন করেন। কিন্তু উপোস রাখার সময় যদি হঠাৎ ঋতুস্রাব শুরু হয়? বা এই সময় যদি আপনার মাসিকের সময় হয়? তাহলে কী করবেন? এই সময়ে ব্রত পালন কর কি উচিত?
অনেকেই মনে করেন মহিলাদের যদি ঋতুস্রাব হয় তাহলে সেই সময় তাঁদের কোনও শুভ কাজে অংশ নেওয়া উচিত নয়। পুজো আচ্ছা করা উচিত নয়। কেবল মনে মনে ঠাকুরের নাম করতে পারেন। কিন্তু কোনও কিছু ছোঁয়া উচিত নয়।
মহাশিবরাত্রির সময় ঋতুস্রাব হলে কী করবেন? মহাশিবরাত্রির উপোস চলাকালীন যদি হঠাৎ ঋতুস্রাব হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের এই উপোস অসম্পূর্ণ রাখা উচিত নয়। কিন্তু উপোস শুরু হওয়ার আগেই আপনার মাসিক শুরু হয়, তাহলে এই ব্রত না রাখাই ভালো।
পণ্ডিতরা বলেন যদি এই উপোস করতেই হয়, ঈশ্বরের উপাসনা করার কোন প্রয়োজন নেই। এই সময় মনে মনে পুজো করতে পারেন। তবে পুজোর উপকরণ স্পর্শ করা উচত নয়। শিবের প্রতি ভক্তির জন্য মনের পবিত্রতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, মনে মনে ঈশ্বরের উপাসনা করলেই হবে। মহাদেব তাতেই সন্তুষ্ট।
তাহলে মহাশিবরাত্রির পুজো কে করবে? মহাশিবরাত্রি পুজোয় সরাসরি অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। তবে আপনার জায়গায় অন্য কেউ পুজো করতে পারে। এই সময়ে ঈশ্বরের মূর্তি, পুজোর জিনিসপত্র এবং নৈবেদ্য স্পর্শ করা এড়িয়ে চলাই ভাল। সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে, মনে মনে শিবের নাম জপ করতে হবে।
ঋতুস্রাবের সময় পুজো করা নিষিদ্ধ কেন? পণ্ডিতরা বলেন মহিলাদের ঋতুচক্রের সময় কোনও পুজো করা উচিত নয়। এই সময় মহিলাদের শরীরে আরও বেশি শক্তি প্রবাহিত হয়। বলা হয়, স্বয়ং ঈশ্বরও এই শক্তি সহ্য করতে পারেন না।
প্রচলিত, যদি কোনও মহিলা তাঁর মাসিক চক্রের সময় তুলসীর উপর জল ঢেলে দেন, তাহলে তুলসীও শুকিয়ে যায়। এই কারণেই মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় উপাসনা, পুজো অর্চনা করতে নিষিদ্ধ করা হয়।
ঋতুস্রাবের কত দিন পর মহিলারা পুজো করতে পারেন? ঋতুস্রাবের পঞ্চম দিনে স্নান সেরে শুদ্ধ হয়ে, পুজ করতে পারেন। যদি কারও মাসিক চক্র দুই বা তিন দিন স্থায়ী হয়, তাঁরা চতুর্থ দিনে স্নান করে পুজয় অংশগ্রহণ করতে পারেন। কোনও মহিলার ৭ দিনের মাসিক চক্র হলে অষ্টম দিন থেকে পুজো শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে মাসিকের ৫ দিন পর থেকেই প্রয়োজনীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। (বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।)