রোজের রান্নায় শুকনো লঙ্কার ব্যবহার হয়। ডালে ফোড়ন দেওয়া হোক বা মাংস কষা হোক — শুকনো লঙ্কা ছাড়া রান্নাই অসম্পূর্ণ। কিন্তু শুকনো লঙ্কার ঝাঁঝ অনেকেরই সহ্য হয় না। কেউ কেউ শুকনো লঙ্কার ঝাল খেতে পারেন না, সেক্ষেত্রে উপায় কী?
আপনি শুকনো লঙ্কার বদলে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে রান্না করতে পারেন। কাঁচা লঙ্কা দিয়ে রান্না করলে সেই খাবারের স্বাদও ভাল হয়। কিন্তু এমন বেশ কিছু রান্না আছে, যা শুকনো লঙ্কা ছাড়া করা যায় না। যেমন আপনি যদি তেল-লঙ্কা দিয়ে আলু সেদ্ধ খেতে পছন্দ করেন, তখন শুকনো লঙ্কা ছাড়া ক্ষতি নেই।
যাঁরা একদম ঝাল খান না, তাঁদের মুখে একবার শুকনো লঙ্কা পড়লে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যায়। জল খেলেও তখন জ্বালাভাব কমে না। তা বলে রান্নায় শুকনো লঙ্কা দেবেন না, এমন হয় নাকি! তার চেয়ে শুকনো লঙ্কা দিয়ে রান্না করার পরও ঝাল লাগবে না, এমন উপায় খুঁজে নিন।
রান্না করার আগে গোটা শুকনো লঙ্কা নিয়ে কাঁচি দিয়ে দু'টুকরো করে নিন। কিংবা আপনি মাঝখান থেকে চিরে নিতে পারেন। এবার শুকনো লঙ্কার মধ্যে থাকা সমস্ত দানা ফেলে দিন। শুকনো লঙ্কার দানা সহজেই ফেলে দেওয়া যায়। এরপর শুকনো লঙ্কাগুলো বয়ামে তুলে রাখুন।
আপনি বীজ ছাড়া শুকনো লঙ্কা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে খাবারে রান্নার স্বাদ হবে, কিন্তু খুব একটা ঝাল হবে না। যাঁরা একদম ঝাল খেতে পারেন না, তাঁরা এই উপায়ে রান্নায় শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করতে পারেন।
‘ক্যাপসাইসিন’ নামের যৌগের কারণে লঙ্কায় ঝাল হয়। আর এই ‘ক্যাপসাইসিন’ নামের যৌগ উপস্থিত থাকে লঙ্কার দানার মধ্যে। ‘ক্যাপসাইসিন’ যখনই ত্বকের সংস্পর্শে আসে তখন জ্বালাভাব অনুভূত হয়। ভিজে লাগলে ঝাল লাগে আর হাতে লাগলে জ্বালা-জ্বালা করে।
আপনি যখনই শুকনো লঙ্কার বীজ ফেলে দেন, তখনই তার ঝাঁঝ কমে যায়। তার সঙ্গে শুকনো লঙ্কা খেলেও ঝাল লাগে না। আপনি এভাবে শুকনো লঙ্কাকে সংরক্ষণও করতে পারেন। এরপর ওই শুকনো লঙ্কা দিয়ে যত বেশি রান্না করুন, আর কোনও সমস্যা নেই।
তবে শুকনো লঙ্কা থেকে দানাগুলো বের করে ফেলে দেবেন না। তুলে রাখুন ওই শুকনো লঙ্কার বীজগুলো। এই দানা দিয়ে আপনি চিলি ফ্লেক্স বানিয়ে নিতে পারেন। আবার কন্টিনেন্টাল খাবারে স্বাদ যোগ করতে উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারে সেগুলো।