Lentil for Skin: ব্রণ থেকে দাগছোপ—এই ডাল মুখে ঘষলেই পাবেন ফর্সা ত্বক
Masoor Dal for Skin Care: প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের সমস্যায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের চল রয়েছে। মা-ঠাকুমারাও ত্বকের যত্ন নিতে বেসন, হলুদ, নারকেল তেলের মতো উপাদান ব্যবহার করতেন। তাহলে আপনি কেন শুধু প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখবেন? হেঁশেলে থাকা ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন নিন।
ডায়েট থেকে দূষণ—বারোটা বাজাচ্ছে আপনার ত্বকের। নামীদামি প্রসাধনী মেখেও ব্রণ, দাগছোপ থেকে মুক্তি মেলে না। এমনকি ফেসিয়াল করানোর ২-১ সপ্তাহের মধ্যেই ফিরে আসে ত্বকের সমস্যা।
প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের সমস্যায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের চল রয়েছে। মা-ঠাকুমারাও ত্বকের যত্ন নিতে বেসন, হলুদ, নারকেল তেলের মতো উপাদান ব্যবহার করতেন। তাহলে আপনি কেন শুধু প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখবেন?
চৈত্রের আবহে গ্লোয়িং ও পরিষ্কার ত্বক পেতে মুসুর ডালের সাহায্য নিন। মুসুর ডালে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
মুসুর ডাল ত্বকের উপর এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ, ব্যাকটেরিয়ার, ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। এর জেরেই আপনি ত্বকে পান উজ্জ্বলতা। ফর্সা ত্বক এনে দেয় মুসুর ডাল।
মুসুর ডালের মধ্যে ভিটামিন বি, সি এবং ই, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে। এটি ব্রণর সমস্যা দূর করে এবং দাগছোপ পরিষ্কার করে দেয়।
মুসুর ডালের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের প্রদাহ কমায়। এর জেরে ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করা যায়। পাশাপাশি এই উপাদান ত্বকে নতুন কোষ গঠনেও সহায়তা করে।
মুসুর ডালের ত্বকের উপর প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে। এছাড়া ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে এই ডাল। মুসুর ডাল জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ডাল মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এতে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।
ত্বকের উপর মুসুর ডালের ফেসপ্যাক ১৫-২০ মিনিট মেখে বসে থাকুন। এরপর স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার সময় ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন। এতেই ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর পালাবে।