
আজকাল বাড়ির ছোট সদস্যের খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয় মায়েদের। এখনকার স্কুলের সময় বেশি বলে সঙ্গে অন্তত দুটো করে টিফিনও দিতে হয়। প্রতিযোগিতার বাজারে সেই টিফিনও দিতে হয় গুছিয়ে।

কেক, মিষ্টি একটা বিস্কুট কিংবা রুটি আলুভাজা এসব এখনকার টিফিনে চলে না। কিংবা একসঙ্গে মুড়ি মেখে টিফিনে খাওয়ার দিন অতীত। কেউ ভাগাভাগি করে টিফিনও খায় না।

আগে অনেক স্কুলেই টিফিন দেওয়া হত। মিড ডে মিল- চালু হওয়ার পর থেকে অবশ্য টিফিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই টিফিনেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক রকমের খাবার দেওয়া হত। খিচুড়ি, ফেনা ভাত, চাউমিন, উপমা সবই থাকত সেই টিফিনের মধ্যে।

এখন অবশ্য এসব খাবার টিফিনে বাচ্চারা ভাবতেও পারে না। কে কত সুন্দর টিফিন বক্স সাজিয়ে আনলো সবাই সেই দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। বন্ধুদের টিফিনে নতুন খাবার দেখলে বাচ্চারাও বায়না করে। অনেক স্কুল নিজেই ঠিক করে দেয় যে বাচ্চারা টিফিনে কী খাবে।

দোকানের প্যাটিস, পিৎজা, কেক খেতে বাচ্চারা পছন্দই করে। কিন্তু রোজ রোজ তা দেওয়া ঠিক নয়। আর তাই বাড়িতে বানিয়ে রাখুন কলার কাপ কেক। ডিম ফাটিয়ে তার কুসুম এবং সাদা অংশটি আলাদা করে নিন। ডিমের সাদা অংশ বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভাল ভাবে ফেটিয়ে নিন।

এতে গলানো মাখন, কুসুম এবং দুধ দিয়ে আবারও ফেটান। কলা চটকে রাখবেন। চিনি গুঁড়ো করে রাখুন। অন্য একটি বাটিতে, ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, চিনি এবং নুন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে ডিম ও মাখনের মিশ্রণ দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে

এবার এর মধ্যে কলা স্ম্যাশ করে দিতে হবে। সমস্ত উপকরণ ভাল ভাবে ফেটাতে থাকুন। কেকের ব্যাটার যেন একেবারে থকথকে ও মসৃণ হয়। কোনও ডেলা যাতে না থাকে

ওভেন ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে প্রি হিট করে বানিয়ে নিন কাপকেক। ১৫ মিনিট বেক করলেই হবে। ঠান্ডা হলে তখনই পরিবেশন করুন।